দায়িত্ব নিল বাংলাক্রাফটের নতুন কমিটি
বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বাংলাক্রাফ্ট) ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর উইমেনস্ ভলান্ট্যারি অ্যাসোসিয়েশনে (ডব্লিউভিএ) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় বিগত বছরের কর্মকাণ্ড সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করা হয় ও নবনির্বাচিত কমিটির হাতে দায়িত্বভার তুলে দেয়া হয়। নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন- গোলাম আহসান, সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শাহিদ হোসেন শামীম ও রাজিয়া সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ এ বি এম হেলাল। তাদের নেতৃত্বে ২০১৯-২০২১ সালের জন্য সমিতির ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন- সানাউল হক বাবুল, মিঞা ফয়সাল হাসান, সোহেলী নাজনীন রুবা, মোহাম্মদ আবু কাওছার, দোলন চন্দ্র দাস, ফওজিয়া আমিন নীনা, নাসিমা আকতার নীলা, পিযুস ভদ্র, মো. খায়রুল আলম, মাঈন উদ্দিন, তাফাজ্জল হোসেন, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সানোয়ারা খাতুন এবং এস ইউ হায়দার।
অনুষ্ঠানে নির্বাচিত সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি তাদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন বিগত কমিটির সভাপতি আশরাফুর রহমান ফারুক।
নতুন কমিটিতে মোট ১৮ জন সদস্য নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে ১২ জন সম্মিলিত ফোরামের এবং বাকি ছয়জন সমমনা পরিষদ ও হস্তশিল্প উন্নয়ন পরিষদের।
সম্মিলিত ফোরাম থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম আহসান; যিনি এ কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাক্রাফটের সভাপতি ছিলেন তিনি।
সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে গোলাম আহসান জানান, ইনকাম জেনারেটিং প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার ইচ্ছার রয়েছে তাদের। এছাড়াও বাংলাক্রাফটের জন্য একটি সেক্রেটারিয়েট করতে চান। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য গবেষণা, উন্নয়ন ও ট্রেনিং সেন্টার করতে চান। এসব কাজ ঠিকমতো করার জন্য বাংলাক্রাফটের নিজস্ব ভবন তৈরির প্রতি জোর দেবেন তিনি। এই ভবন নির্মাণে সরকারের কাছ থেকে জায়গা বরাদ্দ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আগের কমিটির সদস্য মো. শফিকুল আলম সেলিম (সিআইপি) বলেন, ‘বাংলাক্রাফটের সদস্যদের ব্যবসা শক্তিশালী হলে সংগঠন শক্তিশালী হবে। এ দেশ বাহারি শিল্পের সমাহার। তাঁতি, মুচি, ডোম, স্বর্ণকার, কামার, কুমারসহ নানা ধরনের শিল্পের দেখা পাওয়া যায় এই দেশে। মসলিনের মতো শাড়ি বানায় এই দেশের কারিগররা।
১৯৮৩-১৯৮৪ কমিটির সাবেক সভাপতি আবু আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ হস্তশিল্পে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমাদের দেশের নারীরাই সাধারণত এ কাজ করে থাকেন। শুধুমাত্র হস্তশিল্পের মাধ্যমেই লাখ লাখ গ্রামীণ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল থাকছে।’ নতুন কমিটির প্রতি তিনি শুভকামনা জানান এবং যেকোনো সাহায্য ও পরামর্শের জন্য তিনি সদা প্রস্তুত বলেও জানান।
এনএফ/জেআইএম