পতনের মধ্যে ওষুধের দাপট
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে অব্যাহত ছিল দরপতন ও লেনদেন খরা। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে আড়াই শতাংশ। সূচকের পাশাপাশি বাজারে লেনদেনও আড়াই শতাংশ কমেছে।
এ মন্দাবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ নিয়ে টানা চার সপ্তাহ লেনদেনের শীর্ষ স্থান ধরে রাখলো খাতটি। ডিএসইর খাত ভিত্তিক লেনদেন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
লেনদেনের শীর্ষ স্থান দখলের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে ওষুধ খাতের শেয়ার লেনদেন প্রতি কার্যদিবসে গড়ে বেড়েছে ১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ওষুধ খাতের লেনদেন বাড়ার পরও ডিএসইর মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৬০ শতাংশ।
শীর্ষে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৫২ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ। আর আগের সপ্তাহে এই খাতের কোম্পানিগুলোর ৩৯৮ কোটি ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ।
আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৮১ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ ছিল।
সপ্তাহজুড়ে ২১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের এ খাতের অবদান ১৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহেও ডিএসইর মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১৫ শতাংশ। আর টাকার অঙ্কে লেনদেন হয় ৩৪৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এছাড়া ডিএসইর মোট লেনদেনে বস্ত্র খাতের ২১৭ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বা ১০ শতাংশ, বীমা খাতের ১৭১ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বা ৮ শতাংশ, বিবিধ খাতের ১২৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বা ৬ শতাংশ, ব্যাংক খাতের ১০৫ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বা ৫ শতাংশ, খাদ্য খাতের ৭৮ লাখ ৮৮৩ হাজার টাকার বা ৪ শতাংশ এবং সিরামিক খাতের ৮৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৪ শতাংশ অবদান রয়েছে।
বাকি খাতগুলোর এককভাবে মোট লেনদেনে অবদান ৪ শতাংশের কম। এর মধ্যে- মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬০ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বা ৩ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তির ৭২ কোটি ২৭ লাখ বা ৩ শতাংশ, চামড়ার ৫৫ কোটি ৩৬ লাখ বা ৩ শতাংশ, টেলিযোগাযোগের ৪০ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বা ২ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪০ কোটি ৪১ লাখ বা ২ শতাংশ, সেবার ২৭ কোটি ৯৯ লাখ বা ১ শতাংশ, কাগজের ১০ কোটি ৯৬ লাখ বা ১ শতাংশ, সিমেন্টের ১৫ কোটি ৫৭ লাখ বা ১ শতাংশ এবং ভ্রমণের ১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ১ শতাংশ অবদান রয়েছে।
এমএএস/এএইচ/এমকেএইচ