খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন
দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে স্পট মার্কেট তথা খোলাবাজার থেকে এলএনজি (তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করবে সরকার। এ জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্টের (এমএসপিএ) ভিত্তিতে এলএনজি আমদানির জন্য সরবরাহকারীদের একটি শর্টলিস্ট করা হয়েছে। ফলে দ্রুত সময়ে এলএনজি আমদানি সম্ভব হবে।
এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এলএনজি আমদানির জন্য বেশকিছু দেশের সঙ্গে আমাদের লংটার্ম চুক্তি রয়েছে। তবে আমরা স্বল্প সময়ে তাৎক্ষণিকভাবেও এলএনজি আমদানি করতে চাই। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার এলএনজি আমদানি করছে। বর্তমানে কাতার গ্যাস এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে দুটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বছরের বিভিন্ন সমযে এলএনজির মূল্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির এলএনজি মূল্য থেকে কম থাকে।
এছাড়া, বছরের কোন সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমে গেলে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি অনুযায়ী এলএনজি সরবরাহ গ্রহণ না করলেও মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এ বিবেচনায় এলএনজি আমদানিকারী দেশগুলো প্রয়োজনের কমবেশি ২৫ শতাংশ এলএনজি স্পট মার্কেট ক্রয় করে থাকে। এজন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
সূত্র জানায়, এলএনজি বিষয়ে প্রাপ্ত সব প্রস্তাব বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৫,৬ ও ৭ ধারার বিধান অনুসারে নেগোশিয়েশনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এক চিঠির মাধ্যমে সাধারণ প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি (পিপিসি) গঠন করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত কমিটির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী ক্রয় চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি কার্যক্রম সম্পাদিত হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।
এমইউএইচ/জেএইচ/এমএস