প্রথম মাসে শূন্যের বৃত্ত ছাড়াল এডিপি বাস্তবায়নের হার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯

>> প্রথম মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার চমৎকার : মন্ত্রী
>> এবার জুলাইয়ে বাড়লো তিন গুণ
>> সাধারণত প্রথম মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার থাকে শূন্যের বৃত্তে
>> বাড়ার মূল কারণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে টাকা না দেয়া

কাগজপত্র প্রস্তুত করাসহ নানা কারণে প্রতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সাধারণত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার প্রায় শূন্যের কাছাকাছি থাকে। গত অর্থবছরেও (২০১৮-১৯) এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। সেই তুলনায় বর্তমান অর্থবছরে (২০১৯-২০) এডিপি বাস্তবায়নের হার বেশ বেড়েছে। এই অর্থবছরের প্রথম মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। টাকায় যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৫১ কোটি।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা হয়। সভায় একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এডিপির বাস্তবায়ন হারের এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানান।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার চমৎকার হয়েছে। সাধারণত প্রথম মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার প্রায় শূন্যের কাছাকাছি থাকে নানা বাস্তবিক কারণে। কিন্তু এ বছর জুলাইয়ে বাস্তবায়নের হার ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। টাকার অংকে এটা ৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। এই বিশাল পরিমাণ টাকা আমরা জুলাই মাসেই ব্যয় করেছি। একই সময়ে গত অর্থবছরে এই হারের পরিমাণ ছিল দশমিক ৫৭ শতাংশ। দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকে আমরা এটাকে উঠিয়েছি ১ দশমিক ৮৪ শতাংশে। প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। টাকার অংকে তো গত অর্থবছরে আরও কম ছিল; মাত্র ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাইয়ে ব্যয়। গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরে টাকার পরিমাণও অনেক বেড়েছে।’

এটা কীভাবে সম্ভব হলো? ব্যাখ্যা দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে না দিয়ে প্রকল্প পরিচালকদের কাছে সরাসরি টাকা চলে যাচ্ছে। এর ফলটা আপনারা দেখলেন সরাসরি।’

পিডি/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।