ট্যানারিতেই চামড়া বিক্রি করছেন আড়তদাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৯

পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে এবার ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করবে না এমনটি জানিয়েছিল পুরান ঢাকার পোস্তার কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা। তবে এখন তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।

রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের উপস্থিতিতে চামড়া খাতের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তে আসেন তারা।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত, আজ থেকেই চামড়া বিক্রি শুরু করা হবে।

ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রী ও উপদেষ্টা মহোদয় এফবিসিসিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ২২ আগস্ট এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে এ নিয়ে আলোচনা হবে দুপক্ষের মধ্যে। সেখান থেকেই ফয়সালা করে দেয়া হবে।

lather

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আসল কথা হচ্ছে কাঁচা চামড়া এক্সপোর্ট ছেলে খেলা নয়। কাঁচা চামড়া রফতানি করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল। আমরা কাঁচা চামড়া রফতানি জীবনে করিনি। এখন নতুন করে কাঁচা চামড়া রফতানি করতে গেলে কিছু কিছু দেশের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। সেটা আমাদের নেই। এটা নিতেও দীর্ঘসময় লেগে যাবে।’

তিনি বলেন, রফতানির এক্সপোর্টের লাইসেন্সও নেই। এসব প্রক্রিয়া করতে অনেক সময়ের ব্যাপার। যেহেতু ট্যানারি মালিকরা বলেছেন আমাদের বকেয়া টাকার ব্যবস্থা তারা করবেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ট্যানারি মালিকদের কাছে আমরা চামড়া বিক্রি শুরু করে দিলাম। না হলে যে চামড়াগুলো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে, সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের সম্পদকে বাঁচাতে চাই, এ শিল্পকে বাঁচাতে চাই। আমরা আজ থেকে আবার আগের মতো ব্যবসা শুরু করব। তবে আমাদের আবেদন থাকবে যে, ট্যানারি মালিকরা যেন আমাদের টাকা তাড়াতাড়ি পরিশোধ করেন

ট্যানারি মালিকদের কাছে আপনারা কত টাকা পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

এমইউএইচ/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।