২ হাজার কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসবে, আশা অর্থমন্ত্রীর
রেমিট্যান্সের বিপরীতে শতকরা ২ ভাগ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। ফলে চলতি অর্থবছরে ২০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার কোটি মর্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়।
বুধবার (৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতালি, সৌদি আরবসহ কিছু দেশ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের ওপর চার্জ বসিয়েছে। তাই প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। শতকরা ২ ভাগ প্রণোদনা দেয়ার ফলে তারা আর হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাবেন না। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে সেটি বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করছি।
রেমিট্যান্সের প্রণোদনা কীভাবে দেয়া হবে- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাবে সে ব্যাংকই তাদের প্রণোদনার অর্থ দেবে। পরবর্তীতে ব্যাংগুলোকে সরকার সে অর্থ পরিশোধ করে দেবে।
উল্লেখ্য, কোনো প্রবাসী এক হাজার ৫০০ ডলার রেমিট্যান্স পাঠালে তাকে কোনো প্রশ্ন না করে পাঠানো অর্থের বিপরীতে শতকরা ২ ভাগ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। কিন্তু কেউ যদি এর বেশি অর্থ পাঠান তার কাছে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হবে। তবে রেমিট্যান্স পাঠানোর কোনো ঊর্ধ্বসীমা বা আপার লিমিট থাকবে না বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
এমইউএইচ/এমএআর/এমএস