রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৯

চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। পণ্য খাতে রফতানির টার্গেট সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন এবং সার্ভিস সেক্টরে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের রফতানি আয়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

বুধবার (৭ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও অনুমোদন’ সংক্রান্ত সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম।

সচিব বলেন, গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৭ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। আগামী বছরে যে রফতানি আয় নির্ধারণ করেছি। সেটা আমার অর্জন করতে পারবো।

তিনি বলেন, এবার তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। যা গত বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৯১ বেশি।

হোম টেক্সটাইলে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ দশমিক ১০ কোটি ডলার। পাট ও পাটজাত পণ্যে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২ কোটি ৪০ লাখ ডালার।

চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ফার্মাসিউটিক্যালে ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। কৃষি পণ্যে ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ কোটি ডলার।

এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং প্রডাক্টে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। হিমায়িত ও তাজা মাছ রফতানিতে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ কোটি ডলার। প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে ২৫ দশমিক ২১ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ কোটি ডলার এবং সিরামিক পণ্য রফতানিতে ৩০ দশমিক ৪৯ শতাংশ বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ কোটি ডলার।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) পণ্য রফতানি করে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। রফতানির এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। গত ৮ জুলাই রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রফতানিকারকরা বলছেন, রফতানি আয়ে সুখবর নিয়েই অর্থবছর শুরু হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এর মূল কারণ দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক রফতানিতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি। এছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে অন্য খাতেরও আয় ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। ফলে রফতানিতে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে।

এমইউএইচ/এনডিএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।