রেড জোনে ১২ লিজিং কোম্পানি, বৈঠকে বসছেন অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ০৫ আগস্ট ২০১৯
ফাইল ছবি

আর্থিক সংকটের কারণে রেড জোনে রয়েছে দেশের ১২ অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং কোম্পানি। অবস্থা উত্তরণে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে এসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে ১২ অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং কোম্পানি রেড জোনে রয়েছে। বৈঠকে এসব প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এত শোচনীয় হওয়ার কারণ এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান আর্থিক সমস্যার কারণে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিচ্ছে না বা দিতে পারছে না বৈঠকে তাদের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।

সূত্র জানায়, ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশের অবস্থা ভালো নয়। এসবের মধ্যে যে ১২ প্রতিষ্ঠান ‘রেড জোনে’ বলে বিবেচিত তালিকায় রয়েছে এখন তারা আমানতকারীদের অর্থও নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না। ইতোমধ্যে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ‘পিপলস লিজিং কোম্পানি’ অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ প্রতিষ্ঠানে একজন অবসায়কও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উচ্চ সুদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে যেসব লিজিং কোম্পানি আমানতকারীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে কিন্তু পরে সুদসহ অর্থ ফেরত দিতে পারছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে যেসব অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিষয়ে কিছু দিক নির্দেশনা দেবেন অর্থমন্ত্রী। এসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অডিট বা নিরীক্ষা কার্যক্রম চালানোর ঘোষণাও আসতে পারে বৈঠকে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে বলা হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত কিছু লিজিং কোম্পানি গ্রাহকদের আমানতের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করা তো দূরের কথা মূল টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। এছাড়া, আমানতের টাকা ফেরত পেতে গ্রাহকরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৩৫ লিজিং কোম্পানি প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছে। এরমধ্যে ৪৫ শতাংশ শিল্প খাতে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং আবাসন খাতসহ অন্য খাতে বিনিয়োগ করে থাকে। লিজিং কোম্পানিগুলো কোনো চেক, ডিমান্ড ড্রাফট বা পে-অর্ডার ইস্যু বা বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা করতে পারে না।

এমইউএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।