মুক্তবাজার অর্থনীতির আফিমে ডুবে আছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯

মুক্তবাজার অর্থনীতির আফিমে সরকার ডুবে আছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর মইনুল ইসলাম।

শনিবার (২৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘দ্য বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ অ্যান্ড দ্য নিউ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ওয়ার্ডার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রফেসর মইনুল ইসলাম বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির আফিমে বর্তমান সরকার ডুবে আছে। ফলে ধনীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে ২০০ জনের বেশি ধনীর সম্পদ ২৫০ কোটি টাকার ওপর। অন্যদিকে গরিব আরও গরিব হচ্ছে। এখান থেকে বের হতে না পারলে আয়বৈষম্য আরও বাড়বে।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে যেভাবে সাজিয়েছিল তাতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো চূড়ান্ত অসম পরিস্থিতির মুখে পড়ে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাধীন দেশগুলো ঔপনিবেশিক শাসনের কবলমুক্ত হতে স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছিল। তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে তাদের জায়গা নিতে পারছিল না।

মেনন বলেন, ওই সময়ে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সভাপতি আলজেরিয়ায় বুয়ারে বুমেদিন জাতিসংঘের মহাসচিবকে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমতা বিধানের উদ্যোগ নিতে বলেন। জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব কখনোই সেটা মেনে নিতে পারেনি। বরং বিশ্বায়নের নামে পশ্চিমাদের আরোপিত নয়া উদারনীতি তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জীবনমান আরও নেমে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় বিপুল ধনবৈষম্য।

দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, পশ্চিমা দুনিয়ার আধিপত্যবাদ এশিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সৃষ্টি হয়েছে। এশিয়া যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তারই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে এশিয়ার।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এনাম আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

এইউএ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।