ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত আরও কমলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ২০ জুলাই ২০১৯

দেশের শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই মূল্য সূচকের পতন ঘটেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। আর এর ফলে কমেছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও)।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে তিন কার্যদিবসই শেয়ারবাজার নিম্নমুখী থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৯১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ১৫৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

প্রধান সূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে অপর দুই সূচকেরও। সূচকের এই পতনের মধ্যে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এমন দরপতনের কারণে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত প্রায় ২ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষেও দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমেছে দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।

খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯ দশমিক ১৫ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৯ দশমিক ২১ পয়েন্টে। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের পিই আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট কমেছে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১২ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে এ খাতের পিই রেশিও ছিল ১২ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। অর্থাৎ গত সপ্তাহে টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে দশমিক ১০ পয়েন্ট।

তৃতীয় স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ এ খাতের পিই রেশিও দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমেছে। বীমা খাতের পিই রেশিও ১৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে।

এছাড়া খাদ্য খাতের ১৩ দশমিক ২৮ পয়েন্টে থেকে কমে ১২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট থেকে কমে ১৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট থেকে কমে ১৪ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে এবং বস্ত্র খাতের ১৬ পয়েন্ট থেকে কমে ১৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

পিই রেশিও ২০ পয়েন্টের নিচে থাকা বাকি খাতগুলোর মধ্যে সিরামিক খাতের ১৭ দশমিক ৫১ পয়েন্ট থেকে কমে ১৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৮ দশমিক ২৯ পয়েন্ট থেকে কমে ১৭ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৮ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট থেকে কমে ১৮ দশমিক ১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাকি খাতগুলোর পিই রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপরে। এর মধ্যে- ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট থেকে কমে ২১ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৬ দশমিক ৪০ পয়েন্ট থেকে কমে ২৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৩৫ দশমিক ২৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৩৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৪২৪ দশমিক ৮১ পয়েন্ট থেকে কমে ৩৯১ দশমিক ৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অপরদিকে গত সপ্তাহে দুটি খাতের পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে বিবিধ খাতের ২৩ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২৩ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে এবং চামড়া খাতের ৩১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৩২ দশমিক দশমিক ৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এমএএস/আরএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।