হঠাৎ ঝাঁজ বেড়ে গেল পেঁয়াজের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ০৯ জুলাই ২০১৯

হঠাৎ করেই রাজধানীর বাজারগুলোতে ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও তিনদিনের মধ্যে পাইকারিতে পেঁয়াজের দামের দু’দফা উত্থান-পতন হয়েছে।

কারওয়ানবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার ব্যবসায়ীরা এক পাল্লা (৫ কেজি) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেন ১৩৫-১৪০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ে ২৭-২৮ টাকা। সেই পেঁয়াজের দাম রোববার ৪৫ টাকা কেজি দরে ২২৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে মঙ্গলবার দাম কিছুটা কমে ১৯০-২০০ টাকা পাল্লা বিক্রি হয়। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৩৮-৪০ টাকা।

এদিকে খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। গত রোববার থেকে এই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তবে গত শুক্রবার প্রতি কেজি ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০-৩৫ টাকা। অর্থাৎ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

রোববার পাইকারিতে দাম বাড়ার প্রভাবে ওই দিন থেকেই খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় ধরনের উত্থান হলেও, মঙ্গলবার পাইকারিতে দাম কমার প্রভাব এখনও খুচরা বাজারে পড়েনি। খুচরা বাজারে এখনও বাড়তি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে গত দুদিনে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। ওই সময় আমাদের প্রতি মণ পেঁয়াজ কেনা পড়ে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ে ৩৮-৩৯ টাকা। এর সঙ্গে খরচ যোগ করে আমাদের ৪৫ টাকা দামে বিক্রি করতে হয়েছে

‘তবে আজ বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি মণ কেনা পড়ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৩০-৩২ টাকা। এই পেঁয়াজ আমরা ৩৫-৩৬ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এ হিসাবে আজ পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ১০ টাকা করে’- বলেন রুবেল মিয়া।

এদিকে শান্তিনগর গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৫৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে খিলগাঁও এবং সেগুনবাগিচায়।

পেঁয়াজের বাড়তি দামের বিষয়ে শান্তিনগরের ব্যবসায়ী খায়রুল বলেন, বৃষ্টির কারণে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খরচ বাড়ার একটি প্রভাব রয়েছে। পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারে তো আজ পেঁয়াজের দাম কমেছে, তাহলে আপনারা কমাচ্ছেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের কাছে যে পেঁয়াজ রয়েছে, তা বাড়তি দামে কিনে আনা। আমরা পাইকারি থেকে আবার কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারলে দাম কমিয়ে দেব।

বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়ে একধরনের মন্তব্য করেন খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. সবুর। তিনি বলেন, গত শুক্রবার অপ্রত্যাশিতভাবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু সোমবার পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

এমএএস/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।