শেয়ারবাজারে সি পার্লের লেনদেন ১৬ জুলাই থেকে
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা রয়েল টিউলিপ ফ্রাঞ্চাইজ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র শেয়ার লেনদেনের সময় পেছানো হয়েছে।
কোম্পানিটির শেয়ার আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়ার কথা ছিল। তবে লেনদেন শুরুর সময় এক সপ্তাহ পিছিয়ে আগামী ১৬ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই জানিয়েছে, ‘এন’ গ্রুপের আওতায় সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র লেনদেন হবে। কোম্পানিটির ট্রেডিং (লেনদেন) কোর্ড ‘এসইএপিইএআরএল’ এবং কোম্পানি কোড হবে ২৯০০৪।
রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষের ইনটেরিয়র, ফিনিশিং ও আসবাবপত্র ক্রয়, জমি ক্রয় এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতের ব্যয় মেটাতে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে কক্সবাজারের এই পাঁচ তারকা হোটেলটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এ জন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নেয়া হয় ১০ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আইপিও আবেদন গ্রহণের পর ২৩ মে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর ২৬ জুন লটারিতে শেয়ার বরাদ্দ পাওয়া বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে তা প্রেরণ করা হয়।
শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করা অর্থের মধ্য থেকে এই কোম্পানিটি ১০ কোটি ৬৮ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে হোটেলের ১৫৭টি রুমের আসবাবপত্র ক্রয় ও ফিনিশিংয়ের কাজে ব্যবহা করবে। এছাড়া দুই কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জমি ক্রয় এবং এক কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার জন্য ব্যয় করবে।
বিএসইসি জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪৮ পয়সা। আর তিনটি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ভারিত গড় হার শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪১ পয়সা।
কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট।
এমএএস/বিএ/পিআর