টমেটো গাজর শসার সেঞ্চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৯

রাজধানীর বাজারগুলোতে টমেটো, গাজর ও শসার কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। এই তিন সবজির মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে বয়লার মুরগির দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। বাজার ভেদে পাঁকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে এখন সব থেকে দামি এই সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার ওপরে।

bazar-2.jpg

১০০ টাকা কেজি ছোঁয়া অন্য দুই সবজির মধ্যে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে শসা। গত সপ্তাহে গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গাজরের দাম ২০ টাকা এবং শসার দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

আরও পড়ুন>> বাজেটের চাপ খাতুনগঞ্জে, ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছেই

টমেটো, গাজর ও শসার এমন দামের বিষয়ে শান্তিনগরের ব্যবসায়ী মো. আলী বলেন, এখন টমেটো ও গাজরের মৌসুম না। বাজারে এখন যে টমেটো ও গাজর পাওয়া যাচ্ছে, তা আমদানি করা। এ জন্য দাম চড়া। আর শসার মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে, যে কারণে দাম বাড়ছে। বাজারে নতুন টমেটো, গাজর ও শসা না আসা পর্যন্ত এগুলোর দাম কমার সম্ভাবনা কম।

টমেটো, গাজর ও শসার মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। আগের সপ্তাহের মতো ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা, শিম ও ধুন্দুল। পটল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, সবজির দাম কিছুদিন চড়াই থাকবে। বাজারে শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা কম।

তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে কিছু সবজির। গত সপ্তাহের মতো করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, কাকরোল ৪০ থেকে ৫০, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামও বাড়েনি। আগের সপ্তাহের মতোই কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।

bazar-2.jpg

এদিকে সবজির চড়া দামের মধ্যে দাম কমেছে বয়লার মুরগির। বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।

বয়লার মুরগির দাম কমার কারণ হিসেবে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, পাইকারিতে মুরগির দাম কমার কারণে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি। আমাদের ধারণা, গরমের কারণে বয়লার মুরগির দাম কমেছে। সামনে দাম আরও কমতে পারে।

বয়লার মুরগির দাম কমলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিম ডজন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। আর পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।

কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মাছের দাম এখনও বেশ চড়া। তেলাপিয়া আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১৫০ থেকে ১৮০, রুই ২৮০ থেকে ৬০০, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০, শিং ৫০০ থেকে ৬০০, চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।

এমএএস/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।