সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
টানা তিন কার্যদিবস নিম্নমুখী থাকার পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেন।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯১০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর শরিয়াহ সূচক দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে।
প্রধান সূচক ও বাছায় করা কেম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক বাড়ার পাশাপাশি বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ১৩১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারে ৪৮৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫০৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রানার অটোমোবাইলের ১৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১৩ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে এসেছে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল।
এছাড়া বাজারে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, জেএমআই সিরিঞ্জ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, সিঙ্গার বাংলাদেশ, ঢাকা ইনস্যুরেন্স, জিনেক্স ইনফোসিস এবং নিউ লাইন ক্লোথিং।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৬৯ পয়েন্টে। বাজারে হাত বদল হওয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দর। লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
এমএএস/এএইচ/এমকেএইচ