সঞ্চয়পত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে কড়াকড়ি
সঞ্চয়পত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ঠেকাতে কঠোর হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সামাজিক নিরাপত্তার খাত হিসেবে বিবেচিত এ সঞ্চয়পত্রে যাতে নিয়মের বাইরে কেউ কিনতে না পারে সেজন্য ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সার্কুলার জারি করে এ সতর্কবার্তা সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কৃষিভিত্তিক কয়েকটি ফার্মের আয়ের অর্থ দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু কৃষিভিত্তিক ছাড়াও এ খাতে বিনিয়োগ করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এই অপব্যবহার ঠেকাতে সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাতে কৃষিভিত্তিক কয়েকটি ফার্মের আয় ছাড়া অন্য কোন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ যাতে না করতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বড় অঙ্কের অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ অনুযায়ী, উপকর কমিশনারের প্রত্যায়ন সাপেক্ষে তহবিলের অর্থ দ্বারা শুধু কৃষিভিত্তিক কয়েকটি ফার্মের আয়ের বিপরীতে ‘বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র’ কেনা যাবে।
সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদহারের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক তহবিল দ্বারা সঞ্চয় স্কিম ক্রয়ের ক্ষেত্রে সুযোগের অপব্যবহার যাতে না করা হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে সঞ্চয়পত্র স্কিম ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭ যথাযথভাবে অনুসরণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসআই/এমআরএম