‘রিজার্ভ করের সংশোধিত প্রস্তাব যুগান্তকারী’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৫ পিএম, ৩০ জুন ২০১৯

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংরক্ষিত আয় (রিটেইন আর্নিংস) ও বোনাস শেয়ারে সংশোধিত কর আরোপের প্রস্তাবকে শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক ও বিনিয়োগকারীবান্ধব মন্তব্য করে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেছেন, ‘ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সংশোধিত প্রস্তাব যুগান্তকারী।

গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি রিজার্ভ’র ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন। আর বোনাস লভ্যাংশের ওপর কোম্পানিগুলোর জন্য ১৫ শতাংশ কর প্রদানের প্রস্তাব করেছিলেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে রিজার্ভ ও বোনাস শেয়ারের ওপর এমন কর আরোপের প্রস্তাব করার পর শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞরা এ সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেন।

এ পরিস্থিতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে গতকাল শনিবার সংসদে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির নির্দিষ্ট বছরের মুনাফার ৭০ শতাংশের বেশি রিটেইন আর্নিংস, রিজার্ভ বা সারপ্লাস হিসাবে রাখলে, তার ওপরে ১০ শতাংশ হারে কর দেয়ার সংশোধিত প্রস্তাব করা হয়। অর্থাৎ কোম্পানির মুনাফার ৭০ শতাংশের বেশি রিজার্ভে রাখার ক্ষেত্রে, পুরো অংশের ওপরে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।

এছাড়া নির্দিষ্ট বছরে নগদ লভ্যাংশের থেকে বেশি বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা বা বিতরণ করলে, তার ওপরে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। আর নগদ লভ্যাংশ না দিলেও বোনাস শেয়ারের ওপরে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে- এমন সংশোধি আনা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটের এমন সংশোধনী আনায় ডিবিএ সভাপতি শাকিল রিজভী ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য এমন যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

তিনি বলেন, করের নতুন হার কার্যকর হলে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার প্রবণতা বাড়বে। এতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। সবমিলিয়ে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ ভালো কোম্পানি নগদ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বোনাস লভ্যাংশ দেয় না বললেই চলে। যেগুলোর মৌলভিত্তি তুলনামূলক দুর্বল, সেগুলোর বোনাস শেয়ার দেয়ার প্রবণতা বেশি। কোম্পানির প্রবৃদ্ধি নেই, ব্যবসার জন্য দরকার নেই, তারপরেও বোনাস শেয়ার দেয়। এক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রির সুবিধার্থে দেয়া হয়। সংশোধিত প্রস্তাবে এই প্রবণতা কমবে।

এমএএস/এমআরএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।