ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত বেড়েছে
দরপতনের বৃত্ত থেকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে লেনদেন হওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এরপরও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ৩২ পয়েন্ট বা প্রায় এক শতাংশ। সূচকের এই উত্থান হলেও বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৪৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। এরপরও বেড়েছে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সসহ অপর দুটি সূচক।
সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের প্রভাবে বেড়েছে ডিএসইর পিই রেশিও। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ১৪ দশমিক ১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ ডিএসইর পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে দশমিক ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে। এর পরেই রয়েছে বীমা খাত। এ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৩ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে।
এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের ১৩ দশমিক ৮০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৭ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১৯ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৯ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে পিই রেশিও অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর ইপি ২০-এর ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে- ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২২ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৪ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৬ দশমিক ৮০ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ৩২ দশমিক ৬২ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৩৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৪৯৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমএএস/এসএইচএস/জেআইএম