ঋণখেলাপি হলেই খারাপ মানুষ নয় : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯

ঋণখেলাপি হলেই খারাপ মানুষ নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত শিল্প মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয় ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার- ২০১৭’ প্রদান উপলক্ষে। শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে এ পুরস্কার দেয়া হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পুরস্কার প্রদান করবেন।

এবার ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হবে। তাদের মাঝে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পাবে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, দ্বিতীয় এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড এবং তৃতীয় পুরস্কার পাবে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এ সময় সংবাদকর্মী প্রশ্ন রাখেন, ‘বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, তাদের সব তথ্যই ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইট থেকে নেয়া তথ্য অনুযায়ী, পেইড আপ ডেবেট হলো ১৬৭ কোটি টাকা। লং ও শর্টটার্ম মিলে ঋণ আছে ৯৬০ কোটি টাকা। ফাইন্যান্সের ভাষায় যদি বলা হয়, ফাইন্যাশিয়াল লিবারেজ। অর্থাৎ, ঋণজনিত ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। এই প্রতিষ্ঠান কীভাবে সেরা পুরস্কার পায়?’

জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘এনভয় সম্পর্কে আপনি যে তথ্য দিলেন, আমি জানলাম। তবে এনভয় খুবই প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠান। তারা পোশাক-শিল্প খাতে খুবই ভালো করছে।’

তিনি বলেন, ‘ঋণখেলাপি হলেই সে খারাপ মানুষ হয়ে গেল, এটা তো হলো না। ঋণ নিয়েছে, ভেগে গেছে কিনা, দেশে আছে কিনা- সেটা দেখেন। যে কর্মসংস্থান তারা তৈরি করেছে, সেটা কিন্তু একটা মন্ত্রণালয়, একটা সরকারও করতে পারে না।’

নূরুল মাজিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ঋণ তো থাকবেই, ঋণ ছাড়া কোনো ব্যবসা হয় না। ঋণ নিতেই হবে। আমাদের কারও বাপ-দাদার এত পয়সা ছিল না যে, আমরা রাতারাতি শিল্পপতি হয়ে গেছি। আজকে আপনারা যে বাংলাদেশ ভোগ করছেন, সেটা কিন্তু ছিল না। অনেক ঘাতপ্রতিঘাতে এখানে এসেছে।’

তাহলে কি ঋণখেলাপিদের উৎসাহিত করা হলো কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি উৎসাহিত করব কেন? ঋণ ছাড়া তো কেউ ব্যবসা করতে পারে না। ভুল ব্যাখ্যা করবেন না প্লিজ।’

এ বিষয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘ঋণখেলাপি কিনা, তাদের ট্যাক্স ফাঁকি আছে কিনা- এসবগুলো কিন্তু চেক করা হইছে। কোনো মামলা আছে কিনা- ক্রিমিনাল মামলা, ফৌজদারি মামলা, ট্যাক্স পরিশোধ করে কিনা নিয়মিত। যারা ঋণখেলাপি নয়, ট্যাক্স ফাঁকি নেই- এই ধরনের লোকদেরকেই রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।’

তারপরও যদি কোনো ঋণখেলাপি পুরস্কারের তালিকায় থাকে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

পিডি/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।