রাইড শেয়ারিংয়ে কর ও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ১৮ জুন ২০১৯

রাইড শেয়ারিংয়ে কর ও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাইড শেয়ারিং সেবা প্রতিষ্ঠান পিকমি লিমিটেড। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব পেশ করায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ওমর আলী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিকমি লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার বিজনেস অপারেশন্স শরিফুল ইসলাম তারেক। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজেট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা প্রশংসার দাবিদার। এ বরাদ্দ হাজারও তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাকে স্বপ্ন দেখাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তবে বাজেটে সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পরিবহন সেবা খাতের কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। এবারের বাজেটেও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পরিবহন সেবাব্যবস্থাকে ভার্চ্যুয়াল ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের কথা বলা হয়েছে। এতে সম্ভাবনাময় রাইড শেয়ারিংসেবা খাত একদমই শেষ হয়ে যাবে। যেহেতু খাতটি এখনও বিকাশমান, উদ্যোক্তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিয়ে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি রাইডারদের অংশগ্রহণ, বাছাইকরণ, প্রশিক্ষণ, কল সেন্টার পরিচালনা, গ্রাহকদের আলাদা আলাদা সেবা এবং ব্যবস্থাপনায় আর্থিক বিনিয়োগ করে চলেছে, তাই এ সেবা খাত থেকে ভ্যাট অব্যাহতির দাবির পাশাপাশি এই সেবা ব্যবস্থাকে ভার্চ্যুয়াল ব্যবসার পরিবর্তে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা হিসেবে বিবেচনা করার দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি রাইড সেবা প্রদানকারী মোটরযান মালিকদের উৎস কর ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৪ ও ৫ ভাগে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে, যা একদিকে সম্ভাব্য ভাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। এই শিল্প বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। এ খাতের সেবার পরিমাণ ২৫ লাখ টাকার কম হলে ৪ ভাগ হারে উৎস কর দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছর এটি তিন ভাগ রয়েছে। আর ২৫ লাখ টাকার বেশি হলে ৪ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৫ ভাগ করার কথা বলছে এনবিআর।

জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় শরিফুল ইসলাম তারেক বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চ্যালেঞ্জ যেমন আছে, তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদ উন্নয়নও আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার ব্যবস্থা করা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে অবদান রাখা, তীব্র আয়-বৈষম্য কমাতে ভূমিকা রাখা, গতানুগতিক পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকরণে কাজ করা, কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন মানবসম্পদ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখা এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করে এ সেবা খাতের বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য আগামী পাঁচ বছর ভ্যাট ও করমুক্ত রাখার সুপারিশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পিকমি লিমিটেডের পরিচালক মেশকাত হোসেন, সহকারি ম্যানেজার (বিজনেস অপারেশন্স) নিজাম উদ্দিন জাবেদ, হেড অব ফাইন্যান্স তারিক হাসান রুবেল ও সহকারি ম্যানেজার (অপারেশন্স) শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

এমএইচএম/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।