বাজেট নারী উদ্যোক্তাবান্ধব নয় : ওয়েন্ড
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নারী উদ্যোক্তাবান্ধব হয়নি বলে দাবি করেছে ওমেন এন্টারপ্রিনিয়াস নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়শন (ওয়েন্ড)।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ওয়েন্ডের প্রেসিডেন্ট ড. নাদিয়া বিনতে আমিন। তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছেরর বাজেট নারী উদ্যোক্তাবান্ধব নয়, তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তাবান্ধব।
ওয়েন্ডের প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছেরর প্রস্তাবিত বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তা খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বেশ কিছু প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু নারী উদ্যাক্তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাই এ বাজেট নারী উদ্যোক্তাবান্ধব হয়নি।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের আগে নারী উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন হয়নি। প্রতি বছর নারীদের জন্য আলাদা ১০০ কোটি টাকার ফান্ড বরাদ্দ রাখা হতো, এবার বাজেটে তাও রাখা হয়নি।
আমরা বাজেটে নারী উদ্যোক্তা কোম্পানিগুলোর জন্য আমদানি-রফতানি শুল্ক কমানোর আবেদন করেছি, তাও করেনি। এটা করা হলে নারীরা ব্যবসায় উৎসাহিত হতো।
বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন (বেজা), ইপিজেডে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে শিল্প স্থাপনে প্লটসহ সুযোগ প্রধানসহ আবারও ৮ দফা দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আয়করের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য প্রচলিত আয়করমুক্ত সীমা ৩ লাখ টাকা বহাল রাখায় মূলধন পুনরায় যোগান ও গঠনে সমস্যায় পড়তে হবে।
একই সঙ্গে, নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত কর্পোরেট ও কোম্পানিগুলোর করহার না কমানোয় হতাশাজনক বলছে ওয়েন্ড। ব্যাংক ঋণ পেতে হয়রানির শিকান হন নারী উদ্যোক্তারা এমন অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নারীরা ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়েন্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট শামীমা শিরিন লাইজু, কার্যনির্বাহী সদস্য নাদিরা ইয়াসমীন, কো ট্রেজারার জারজিনা খালেদ প্রমুখ।
এসআই/জেডএ/এমএস