ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৫ লাখ ৩৮০ কোটি টাকা। আর ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু তার অসুস্থতার কারণে পরে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাজেটের অর্থবিলে অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করেন।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ নাম দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন মুস্তফা কামাল।
এদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ধার করবে সরকার। এরমধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনার কথা নতুন বাজেট প্রস্তাবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ২৮ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। আর স্বল্প মেয়াদি ঋণ নেবে ১৯ হাজার ২৭০ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে অর্থমন্ত্রী।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরেছিল। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃত ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। আর স্বল্পমেয়াদি প্রকৃত ঋণ ১৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
এরপর বেলা ৪টা ৪১ মিনিটে ‘প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হলো’ মর্মে ঘোষণা দেন স্পিকার।
প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
এর আগে মন্ত্রিসভা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়। বাজেট ঘোষণার আগে দুপুর ১টার একটু পর জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর মূল বাজেটের আকার দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় করতে না পারা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।
এসআই/এমএমজেড/পিআর