শিগগিরই আসছে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প নীতিমালা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ২৭ মে ২০১৯

জাতীয় অর্থনীতিতে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতের অবদান বৃদ্ধি এবং এ খাতের টেকসই বিকাশের লক্ষ্যে শিগগিরই অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পনীতিমালা প্রণয়ন করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (আইএসআইএসসি) নীতিমালার একটি রূপরেখা প্রণয়নের কাজ চলছে।

সংস্থাটি চলতি বছর জুনের মধ্যে এর খসড়া চূড়ান্ত করে শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে। এর ভিত্তিতে নীতিমালা প্রণয়ন করবে শিল্প মন্ত্রণালয়।

সোমবার রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে আয়োজিত ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতের জন্য নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) আওতায় গঠিত অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (আইএসআইএসসি) এর আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএসআইএসসি’র পরামর্শক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস। এনএসডিএর নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমো পৌটিয়ানেন, আইএসআইএসসির চেয়ারম্যান মির্জা নূরুল গণি শোভন বক্তব্য দেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৮৭ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প ক্ষেত্রে নিয়োজিত। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ নারী-পুরুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে, যাদের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাত। এ খাতে নিয়োজিত শ্রমিক এবং উদ্যোক্তা উভয়েরই নানামুখী সমস্যা থাকলেও জাতীয় শিল্পনীতিতে তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প ও অর্থনৈতিক খাতের টেকসই বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আরও জানানো হয়, মোট দেশজ উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অবদান বিবেচনা করে দ্রুত একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে এ খাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।

এসআই/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।