একীভূত হচ্ছে ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে ২০১৯

ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারাখানা দুটিকে একীভূত করে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। সরকার চাইছে এ কারখানার মাধ্যমে বছরে অন্তত ৯ কোটি ২৪ লাখ টন সার উৎপাদন করতে। এ লক্ষ্য নির্ধারণ করে আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে দুটি কারখানাকে একত্রিত করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।

রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এ কে এম ফজলুল হক, হাবিবুর রহমান মোল্লা, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও পারভীন হক সিকদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সার বিতরণ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনাকালে জানানো হয়, ঘোড়াশাল সার কারখানা ও পলাশ সার কারখানা আলাদা থাকায় উৎপাদন কম হচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে এ কারখানা দুটি একত্রিত করা হবে। এ জন্য সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় হবে এক হাজার ৪৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

সরকার চাইছে, দুটি সার কারখানাকে একত্রিত করা হলে বর্তমানের চেয়ে অধিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। যার মাধ্যমে দেশে কৃষি উৎপাদনে যে সারের চাহিদা রয়েছে তা দিয়েই ভালো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে এ সার কারখানার বাৎসরিক উৎপাদন দাঁড়াবে ৯ লাখ ২৪ হাজার টন। আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া প্রকল্প স্থাপন হবে।

সভায় শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদনে যাতে কোনো ধরনের বিঘ্ন না সৃষ্টি হয়, সে জন্য কমিটির পক্ষ থেকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুপারিশ জানিয়েছে কমিটি।

কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিল্প কারখানার উৎপাদন ভালো হলে দেশ অথনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।

এইচএস/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।