২৩০২ কোটি টাকার ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ১৫ মে ২০১৯
ফাইল ছবি

ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরিত হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবসহ মোট ৬টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার ৩০২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ ক্রয় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কেমিকাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) বাস্তবায়নাধীন ‘ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডে উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসে থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরকরণ (সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সিমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।’

বৈঠকে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মতামতের আলোকে সিসিজিপে অনুমোদিত ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি এমজি যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ’ শীর্ষক ক্রয় প্রস্তাবের দরদাতার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি সিসিজিপির গোচরিভূতকরণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৮৩২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

অর্থমন্ত্রী জানান, ‘কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতি সেকেন্ড ব্রিজেস কন্সট্রাকশন অ্যান্ড এক্সিসটিং ব্রিজেস রিহ্যাবিলাইশন প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের ভেরিয়েশন-২ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পে অতিরিক্ত ৭৮ কোটি ২ লাখ টাকার কাজ বেশি হয়েছে। তা অনুমোদনের জন্য কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিআইডব্লিউটিএ বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম, ঢাক, আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কাজের পরামর্শক নিয়োগের চুক্তিমূল্য অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল। প্রস্তাবটি আরও পর্যলোচনা করার জন্য প্রস্তাবকারী মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ভোলা ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন ইউনিট-১ ও ২ এর পরিচালন ও রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেবা সংগ্রহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইউনিট-১ এ ব্যয় হবে ২০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং ইউনিট-২ এ ব্যয় হবে ৩৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মেসার্স জেনারেল ইলেকট্রিক প্রকল্পটি দুটি বাস্তবায়ন করবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯ দশমিক ৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ ১ম সংশোধন) শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজ ১৬ হাজার মিটার কন্ডাক্টর, এসিএসআর ও বেয়ার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, কনসোর্টিয়াম অব আনলিমা টেক্সটাইল লিমিটেড অ্যান্ড জিই ক্যাপিটাল গ্লোবাল এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট বিভির নারয়ণগঞ্জ জেলার মেঘনা ঘাটে ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাস/আরএলএনজি ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিল্ডওন অপারেট পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি গড়ে উঠবে। উদ্যোক্তা সংস্থা ২২ বছরের জন্য এটি স্থাপন করবে। তবে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর চুক্তি রিভিউ করা হবে।

এমইউএইচ/এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।