এক নজরে ১১ কোম্পানির আর্থিক চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৩ পিএম, ১৪ মে ২০১৯

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১টি কোম্পানি মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে দু’টি কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকের এবং ৯টি কোম্পানি প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রূপালী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, তাকাফুল ইনস্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ফ্যামেলি টেক্স, সিঙ্গার বিডি এবং আমান কটন ফেব্রিক্স।

এর মধ্যে সিঙ্গার বিডি এবং আমান কটন ফেব্রিক্স তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর বাকি ৯টি কোম্পানি প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যমুনা ব্যাংক : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে যমুনা ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৭৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৫ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৫৪ পয়সা, যা ২০১৮ সালের মার্চ শেষে ছিল ২০ টাকা ৬৬ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৬ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৩১ পয়সা।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এই ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৫ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৮ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২৩ টাকা ১৬ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৮ টাকা ৬৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ১৩ টাকা ৫৭ পয়সা।

রূপালী ব্যাংক : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২২ পয়সা। মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা, যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৪৫ টাকা ৭৩ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৭৯ টাকা ৫১ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৩২ টাকা ১১ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার প্রতি মুনাফা বা ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮১ পয়সা। মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫৪ পয়সা। যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২২ টাকা ৯১ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩১ পয়সা।

তাকাফুল ইনস্যুরেন্স : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩২ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ মার্চ শেষে টাকা ৩০ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১৭ টাকা ১ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৭৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯ পয়সা।

ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৫ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ১৮ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৩২ টাকা ৯৫ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ১৩ পয়সা।

সিঙ্গার বিডি : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে সিঙ্গার বিডির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৬ পয়সা। মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ১ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৩০ টাকা ১৩ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১২ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৮ টাকা ৫৪ পয়সা।

আইডিএলসি : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ১৫ পয়সা। যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৩৬ টাকা ১৭ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৯ টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৮ টাকা ৯৭ পয়সা।

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৫৮ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৮ পয়সা। মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২৫ পয়সা, যা ২০১৮ সালের মার্চ শেষে ছিল ১৬ টাকা ৪৬ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ১৬ টাকা ৪৩ পয়সা ছিল।

আমান কটন : চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২০১৯) কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ৪৮ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬২ পয়সা। আর নয় মাসের (জুলাই’২০১৮ থেকে মার্চ’২০১৯ পর্যন্ত) হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৪২ পয়সা, যা ২০১৮ সালের জুন শেষে ছিল ৪২ টাকা ৩৩ পয়সা। আর জুলাই’২০১৮ থেকে মার্চ’ ২০১৯ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৫০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৪ পয়সা।

ফ্যামেলি টেক্স : চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এবং নয় মাসের (জুলাই’২০১৮ থেকে মার্চ’ ২০১৯ পর্যন্ত) হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক পয়সার কম। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৬৮ পয়সা, যা ২০১৮ সালের জুন শেষে ছিল ১২ টাকা ৩০ পয়সা। আর জুলাই’২০১৮ থেকে মার্চ’ ২০১৯ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে এক পয়সার কম। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক এক পয়সা।

এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।