১৫ খাতে নড়চড়, ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত স্থির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ১১ মে ২০১৯

মূল্যসূচকের পতনের মধ্য দিয়ে আরেকটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এ পতনের মধ্যে কিছু কিছু খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। আবার কিছু খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।

এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫টি খাতের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) রদবদল হয়েছে। আর একটি মাত্র খাতের পিই অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ খাতের পিই রেশিও অবস্থান পরিবর্তন হলেও ডিএসই পিই রেশিও আগের সপ্তাহের অবস্থানেই স্থির রয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর মধ্যে দুই কার্যদিবস বাজার উত্থানের দেখা মেলে। এর মধ্যে রোববার সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সব থেকে বড় উত্থান হয়। তবে পরের তিন কার্যদিবস টানা দরপতন হয়। এরপরও সপ্তাহজুড়ে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।

অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সসহ অপর দুটি সূচকের পতন হয়েছে। তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি সার্বিক পিই রেশিওর ওপর। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪ দশমিক ১৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষেও পাই একই স্থানে অবস্থান করছে।

খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৫টি খাতের পিই রেশিও পরিবর্তন হলেও বস্ত্র খাতের পিই আগের অবস্থানেই রয়েছে। এ খাতের পিই ১৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৮ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে।

এর পরেই রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এ খাতের পিই ২০ দশমিক ২১ পয়েন্টে থেকে কমে ৯ দশমিক ৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তারপর রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১২ দশমিক ২০ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১২ দশমিক ০২ পয়েন্টে।

এছাড়া বীমা খাতের ১৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট।, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৪ দশমিক ০৫ পয়েন্ট।

প্রকৌশল খাতের পিই অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে। বস্ত্র খাতের ১৬ দশমিক ৫২ পয়েন্টে থেকে বেড়ে ১৬ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট হয়েছে।

সেবা ও আবাসন খাতের পিই ১৬ দশমিক ৯০ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিরামিক খাতের ১৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট থেকে কমে ১৯ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের পিই ১৮ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে থেকে কমে ১৮ দশমিক ৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর্থিক খাতের ১৯ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট থেকে কমে পিই রেশিও ১৮ দশমিক ৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২১ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২১ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট হয়েছে।

বিবিধ খাতের ২৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ২৪ দশমিক ১০ পয়েন্ট হয়েছে। সিমেন্ট খাতের ৩০ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৩৫ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

চামড়া খাতের ৩০ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৩০ দশমিক ৮৭, পেপার খাতের ৩৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৩৫ দশমিক ১৬ পয়েন্ট এবং পাট খাতের পিই ৫৪১ দশমিক ৫০ পয়েন্ট থেকে কমে ৫১৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এমএএস/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।