‘প্রতিদিন সকালে উঠে ভাবি আজ ভালো কিছু হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

‘রাতে ঘুমাতে পারি না। প্রতিদিন সকালে উঠে ভাবি- আজ ভালো কিছু হবে। বাসা থেকে ব্রোকারেজ হাউজে এসে স্কিনে চোখ রেখে ভাবি- আজ অবস্থার পরিবর্তন হবে। কিন্তু কিছুই হয় না। বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হয় না। বুকের মধ্যে ব্যাথা করে। কান্না চেপে আবার বাসায় ফিরে যাই।’

এভাবেই শেয়ারবাজারের বর্তমান দুরবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন ‘পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আতাউল্লাহ নাঈম।

রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত প্রতীকী গণঅনশনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এই নেতা বলেন, ‘তিন মাস ধরে বাজারে দরপতন চলছে। এমন টানা দরপতন কোথাও হয় না। আমরা সখ করে রাস্তায় নামিনি। আমরা রাস্তায় ধুকে ধুকে মরার জন্য পুঁজিবাজারে আসিনি। আমরা কেউ রাস্তায় থাকতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন আহাজারি করছি। কিন্তু আমাদের আহাজারি শোনার জন্য মনে হচ্ছে কেউ নাই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভরসা। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ আমাদের দুঃখ বুঝবেন না। তাই আমরা শেয়ারবাজরের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, ‘রাতে যখন ঘুমাতে যাই ঘুমাতে পারি না। সকালে হাউজে এসে স্কিনে চোখ রেখে ভাবি আজ ভালো কিছু হবে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না। প্রতিদিন আমরা পুঁজি হারাচ্ছি। নিঃস্ব হচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে স্টক করেই অনেক বিনিয়োগকারী মারা যাবেন।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেয়ারবাজরে যখন মন্দা থাকে তখন স্টেকহোল্ডরারা যেসব দাবি তোলেন তা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে তোলা হয় না। তারা শুধু তাদের স্বার্থ হাসিলের দাবি জানান। তাদের জানানো দাবির ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোনো লাভ হয় না।’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ডিএসইর পক্ষ থেকে স্ক্রিপ্ট নিটিং সিস্টেম চালুর জন্য করা দাবির বিরোধীতা করে তিনি বলেন, স্ক্রিপ্ট নিটিং চালু করলে এই বাজার আর টিকবে না। বাজারের স্বার্থে স্ক্রিপ্ট নিটিং চালুর উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে। ডিএসইর চিহ্নিত কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে স্ক্রিপ্ট নিটিং চালুর দাবি জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা অতিরিক্ত কমিশন খেতে চান।

শেয়ারবাজারে দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ায় বিএসইসির সমালোচনা করে এই বিনিয়োগকারী বলেন, উচ্চ প্রিমিয়াম নিয়ে একটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়, এখন ওই কোম্পানির শেয়ার দাম ৫-৬ টাকা। আর বিএসইসি আমাদের বলে বিনিয়োগকারীরা দেখে বিনিয়োগ করতে পারে না। আমরা বলতে চাই- বিএসইসি আইপিও অনুমোদন দেয়ার আগে দেখে দিতে পারে না? অফিস নাই, ঠিকানা নাই এমন কোম্পানি কীভাবে আইপিও অনুমোদন পায়?

এমএএস/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।