শ্রমিকরা এখন নিরাপদ, যুক্তরাষ্ট্রকে জানাল বাংলাদেশ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে আমূল পরিবর্তন এনেছে। তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আধুনিক ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। ফায়ার ও বিল্ডিং সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন শ্রমিকরা নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে।
তিনি বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার ও উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে একের পর এক ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’ গড়ে উঠছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে তৈরি পোশাকের উৎপাদন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে তুলনায় ক্রেতাগোষ্ঠী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় রফতানি বাজার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এখন জরুরি।
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ইউএসটিআর জেবা রিয়াজউদ্দিন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইয়াল আর. মিলারসহ টিকফা মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী ১২ সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দল আজ (রোববার) সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশ মার্কিন বিনিয়োগ আশা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার খুবই আন্তরিক। অতি সহজেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য করার সুযোগ এসেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) কাউন্সিলের ৪র্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উল্লিখিত টিকফা সভার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এটি মধ্য মেয়াদি পর্যালোচনা সভা। এ সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ইউএসটিআর জেবা রিয়াজউদ্দিন।
এমইউএইচ/এনএফ/এমএস