অসততা আমাকে স্পর্শ করেনি, করবেও না : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন। অসততা আমাকে স্পর্শ করেনি, করবেও না। আমি অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। সাধারণ মানুষের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে। সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হবে, খেলাপি ঋণও বাড়বে না। এছাড়া আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ প্রণোদনা থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রাকবাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, কেউ ঋণ গ্রহণ করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। ব্যবসা করলে লাভ বা লোকসান হতে পারে। যারা লোকসান দেয় তাদের জন্য কিছু করার ব্যবস্থা থাকে না। ঋণখেলাপি হওয়ার পরও সব ব্যবসায়ীদের জেলে পাঠালে তো হবে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকঋণে সুদেও হার বেশি। এতই বেশি যে এ সুদে ব্যবসা করা যাবে না। সুদের ওপর নতুন করে সুদ আরোপ করা হচ্ছে। বিশ্বের কোনো দেশে ১৪, ১৫ এবং ১৬ শতাংশ সুদহার নেই। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এই সুদ প্রদান করে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ভবিষ্যতে এই সুদহার যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনা হবে।
অর্থপাচার রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, পণ্য আমদানি না করে অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। এ অর্থপাচার রোধে আমদানি-রফতানির শতভাগ পণ্য স্ক্যানারের আওতায় আনা হবে। এতে করে পণ্য আবদানির ক্ষেত্রে কী আনা হলো তা জানা যাবে। পাশাপাশি আমরা কোন ধরনের পণ্য রফতানি করছি তাও জানতে পারব।
মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যবসায়ী ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ব্যবসা করতে গিয়ে যারা অনিচ্ছাকৃতভাবে খেলাপিতে পরিণত হয়েছেন তাদেরকে সহযোগিতা এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার মানে এই নয় যে নিয়মিত গ্রাহকরাও খেলাপিতে পরিণত হতে চাইবে। আমরা এমন ব্যবস্থা করব যাতে উভয়পক্ষ লাভবান হয় এবং দুই গ্রুপের মধ্যে ভিন্নতা থাকে।
ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে আমরা ইনসলভেন্সি অ্যাক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন করা হবে। আশা করা যায় এর মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমে আসবে। এছাড়া বাজেটে পুঁজি বাজারের জন্য প্রণোদনা থাকবে বলে তিনি জানান।
মুস্তফা কামাল বলেন, আমি অনুরোধ করব- এমন কিছু করবেন না আমাদের দেশের ক্ষতি হয়, দেশের মানুষের চলার পথে যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয় সে জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। সবাই সবার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে।
প্রাকবাজেট আলোচনায় ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দ এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ, দেশের এনজিও নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
এসআই/বিএ