সিপিডির চেয়ে আমরা বড় : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
ফাইল ছবি

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) তাদের কাজ করছে, আমরা আমাদের কাজ করছি। সিপিডির তথ্য-উপাত্ত চেয়ে তিনি বলেন আমরা তাদের চেয়ে বড়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় সরকারের ১০০ দিন নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (সিপিডি) কাছে যা আছে সেগুলো আগে আমাকে দিতে বলেন। তাদের থেকে আমরা বড়। তাদের কাছে কী আছে সেগুলো আমাদের দিক।’

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সিপিডি সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের ১০০ দিন নিয়ে কথা বলেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনা : বর্তমান সরকারের প্রথম একশ দিন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাব করা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিকে ঈর্ষণীয় বলছে সিপিডি। উৎপাদন খাতের ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিই জিডিপির প্রবৃদ্ধি চালিকাশক্তি। তবে সিপিডি এ প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। সিপিডির মতে, এ হিসাব বাস্তবসম্মত নয়। অর্থনীতির সূচকগুলোর সঙ্গে এর মিল নেই। জিডিপির হিসাব আরও গভীরে গিয়ে করা উচিত। তা না হলে নীতিনির্ধারণে সমস্যা হবে।

কিছু অসংগতি তুলে ধরে জিডিপির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিডি। তারা বলেছে, উৎপাদন খাতনির্ভর প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিবিএসের হিসাব, চামড়া খাতে প্রথম প্রান্তিকে সাড়ে ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অথচ রফতানিতে নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৬ শতাংশ। কিন্তু চলতি মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১২ শতাংশ। কিন্তু গতবার একই সময়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ১৮ শতাংশ। সিপিডির মতে, বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের মানে হলো, শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এ প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের ভূমিকা দেখিনি। আবার কর আহরণের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি নেই। ব্যক্তি খাতের ঋণপ্রবাহ বেশি হয়নি। মূলধনী পণ্যের আমদানিও বেশি দেখা যায়নি। ব্যাংক খাতেও চাঞ্চল্য নেই।

তবে সরকারের কিছু ভালো উদ্যোগের বিষয়ে জানায় সিডিপি। ভালো উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদেশি কর্মজীবীদের বিষয়ে জরিপ চালিয়ে করের আওতায় আনার উদ্যোগ, মানি লন্ডারিং বিধিমালা জারি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনকে করের আওতায় আনা।

এমইউএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।