উৎপাদন বাড়াতে শিল্প ব্যবস্থাপনায় সুশাসন জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শিল্প ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা অর্জনের জন্য শিল্প কারখানায় জবাবদিহিমূলক আচরণ’ শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শিল্পসচিব বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়নে সুশাসন কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে ভূমিকা পালন করে। সুশাসনের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনে অব্যাহত সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ‘‘অসম্ভব অর্জনের দেশ’’ হিসেবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১০ সালে এ দেশে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮.৫ শতাংশ, সেখানে ২০১৬ সালে তা ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে।’ বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের চরম দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

INDRESTRY

জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন্নাহার বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এসএম আশরাফুজ্জামান এবং এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের শিল্পবিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার ড. জোসে এলভেনিয়া বক্তব্য দেন।

পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৩টি দেশের ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং ৩ জন উৎপাদনশীলতা ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন। এতে শিল্প ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের মাধ্যমে উৎপাদনের প্রতিটি স্তরে দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ফলে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে উৎপাদনশীলতা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতার উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসআই/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।