চলতি মাসেই ট্যানারি পরিচালনায় কোম্পানি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০১ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) পরিচালনার জন্য চলতি মাসেই কোম্পানি গঠন হবে। চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও স্টেকহোল্ডারদের মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান, এপেক্স ট্যানারির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর ইলাহী, এলএফএমইএবির চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, বিএফএলএলএফইএর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিম, বিটিএ চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদসহ বুয়েট, বিসিক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সার্বিক অবস্থা বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় জানানো হয়, লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) নিরীক্ষক এবং ইতালির পরামর্শকের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের সার্বিক নির্মাণকাজ সন্তোষজনক। এতে কিছুটা নির্মাণ ঘাটতি থাকলেও তা সহজেই সমাধানের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সলিড এবং লিকুইড বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনলে সিইটিপির শতভাগ সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

সভায় চামড়া শিল্পনগরীর সলিড বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ল্যান্ড ফিল্ড ডিজাইন অনুযায়ী বর্জ্য ডাম্পিং এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ক্রম সেপারেশন ইউনিট সচলের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি ট্যানারিতে পানির অপচয়রোধে শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে বিসিকের মাধ্যমে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় ট্যানারি মালিকরা সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে স্থাপিত সিইটিপিকে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সিইটিপি হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এটি পুরোমাত্রায় ব্যবহার হলে দেশের চামড়া শিল্পখাত এশিয়ায় সপ্তম থেকে তৃতীয় স্থানে চলে আসবে। তারা কোম্পানি গঠনের পর নিজস্ব দায়িত্বে সিইটিপি পরিচালনার বিষয়ে ঐকমত্য  পোষণ করেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের পর বাংলাদেশ আরও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের টার্গেট নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। টার্গেট পূরণে তৈরি পোশাকের পর চামড়া শিল্প দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হতে পারে। এ খাতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের বিরাট সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ গ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় গুণগতমানের চামড়া ব্যবহার করে এখাতে রফতানি বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তর বর্তমান সরকারের একটি বিরাট সাফল্য। অতীতে কোনো সরকার এটি করতে পারেনি। সরকার সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কাজ সম্পন্ন করেছে উল্লেখ করে তিনি এটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে ট্যানারি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি শিল্পনগরীতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বিসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

এসআই/এএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।