তৈরি পোশাক রফতানিতে ৫ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বিদায়ী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় নবনির্মিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান তিনি।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আপদকালীন সহায়তা হিসেবে আগামী অর্থবছরের বাজেট পোশাক শিল্প রক্ষায় অন্তত এক বছরের জন্য ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দাবি করছি। এ সহায়তা দিলে সরকারের ব্যয় হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। তবে এর বিপরীতে সরকার এ শিল্প থেকে চার গুণ বেশি রাজস্ব পাবে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই নগদ সহায়তা পেলে অনেক কারখানা বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, পোশাক শিল্প ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকলেও আমরা এর হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছি না। তাই এনবিআরকে বলব ভ্যাটের নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রারি বন্ধ করুন।

বন্ড সুবিধার অপব্যহারকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, কিছু ব্যাবসায়ী বন্ডের সুবিধার অপব্যবহার করছে। কিন্তু এজন্য ঢালাওভাবে পোশাক শিল্পকে দোষারোপ করা হচ্ছে; যা বিজিএমইএ সমর্থন করে না। তাই যারা বন্ডের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এখনও বিভিন্ন ব্যাংক ডাবল ডিজিটে ঋণের সুদহার আদায় করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে আমানতের সর্বোচ্চ সুদহার ৬ শতাংশ এবং ঋণে ৯ শতাংশ করার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত উদ্যোক্তারা বাস্তবে এর কোনো সুফল পাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত বর্তমানে নতুন বাজারে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে চার শতাংশ হারে নগদ সুবিধা বহাল আছে।

সংগঠনের বিদায়ী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি এস.এস. মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।