‘বেআইনি অডিট’ প্রত্যাহারে বিটিআরসিকে গ্রামীণফোনের অনুরোধ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) পরিচালিত অডিটে ১২ হাজার ৫৭৯ দশমিক ৯৫ কোটি টাকার দাবিকে ‘আইনগতভাবে ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে গ্রামীণফোন।

মঙ্গলবার বিটিআরসিকে দেয়া এক চিঠিতে গ্রামীণফোন এ ‘যুক্তিহীন অডিট’ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে একটি যুক্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানায়।

বিটিআরসি গত ২ এপ্রিল একটি দাবিনামার মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসিকে ৮ হাজার ৪৯৪ দশমিক ১ কোটি টাকা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৪ হাজার ৮৫ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা পরবর্তী ১০ কর্মদিবসে পরিশোধের নির্দেশ দেয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিটিআরসি কর্তৃক নিয়োগকৃত জেভিসিএ অব তােহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি অডিট ফার্ম গ্রামীণফোনের ১৯৯৭ সালের যাত্রা থেকে শুরু করে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইনফরমেশন অ্যান্ড সিস্টেম অডিট পরিচালনা করে এ টাকা দাবি করে। এ অডিটে বিটিআরসির দাবি করা ৮ হাজার ৪৯৪ দশমিক ১ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৭৩% (৬ হাজার ১৯৪ দশমিক ৩ কোটি টাকা) সুদ, যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

এর আগে বিটিআরসি আর একটি ইনফরমেশন অ্যান্ড সিস্টেম অডিটের মাধ্যমে ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সালের সময়ে গ্রামীণফোনের কাছে থেকে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা পাবে বলে দাবি করে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন সেই অডিটের অডিটর নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়।

বিটিআরসি ১৯৯৭-২০১১ সালের পূর্ববর্তী অডিটের দাবি নিয়ে আদালতে একদিকে তাদের আইনগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সালের অডিটে এখন ১২ হাজার ৫৭৯ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা দাবি করছে। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য বিটিআরসি দুটি দাবি করছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি বলেন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সঙ্গে অনেকবার আলোচনা এবং অডিটরকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করার পরেও আমাদের যুক্তিগুলো অডিট প্রতিবেদনে প্রতিফলিত না হওয়া খুবই দুঃখজনক। অডিট চলার পুরো সময়ে আমরা বারবার অডিট প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু আমাদের মতামতকে দাবিনামায় সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগস্টে গ্রামীণফোনকে অডিটের প্রতিবেদনের উপর আনুষ্ঠানিক জবাব দিতে বলে বিটিআরসি। গ্রামীণফোন নির্ধারিত সময়ে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও যুক্তি দাখিল করে। কিন্তু বিটিআরসি তাদের দাবিনামায় শুধু ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেয়া গ্রামীণফোনের ব্যাখ্যা আমলে নিয়েছে।

রাজস্ব বোর্ডের পাওনা বিষয়ে (যেটি মোট দাবিকৃত টাকার ৩২%) গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজস্ব বোর্ডের হয়ে টাকা দাবি করার কোনো এখতিয়ার বিটিআরসির নেই। এ পরিস্থিতিতে অডিটের দাবি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে গ্রামীণফোন বিটিআরসিকে একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আবারও আলোচনার দাবি জানায় গ্রামীণফোন।

এমএসএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।