গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট : সরকারের প্রতি শিল্পপতিদের ক্ষোভ
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিল্প-কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না করায় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের শিল্পপতিরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে বিসিআইসি ভবনে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর উপস্থিতিতে তারা সরকারের সমালোচনা করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিয়ে সরকারের কাছে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রদানের দাবি জানান। ‘শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ম. তামিম।
সেমিনারের শুরুতে বিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সরকার নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার কথা বললেও দিতে পারছে না। ডিমান্ড নোটিশের দেয়ার পর যন্ত্রপাতি আমদানি করা হলেও গ্যাস দিতে পারছে না। এটা তো সরকারের নীতি হতে পারে না। সরকার যদি নিজেই নিজের কথা রাখতে না পারে তবে আমরা কিভাবে বিনিয়োগ করব। সরকারের এ দ্বৈত নীতির কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।
তিনি আরো বলেন, আপনারা বলছেন ১০০ ইকোনমিক জোন তৈরি হবে। কিন্তু বলছেন না কবে তৈরি হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের কাজ প্রতিবছর শেষ হচ্ছে বলে জানানো হয়, কিন্তু এখনও শেষ হয়নি।
সরকারের পরিত্যক্ত শিল্পকারখানা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওযার আহ্বান জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, সরকার যদি তাদের প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে দেয় তাহলে ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে বন্ধ প্রতিষ্ঠান গুলো সচল ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করবো।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশে শিল্প মন্ত্রণালয় আছে কিন্তও সেটা শিল্প নিয়ে কোন কাজ করে না। সরকার বিদ্যুৎ-গ্যাস দেবে বলে দেয় না, আবার জমি দিয়ে তাও কেড়ে নেয়। এ কারণে আমরা নিজেরাই বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছি না, বিদেশিরা কিভাবে আসবে।
মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে শিল্পায়নের স্বার্থে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ দেয়ার সুপারিশ করেন ম. তামিম।
পরে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প স্থাপনে ১৭ জায়গায় আবেদন করতে হয়, অথচ এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় নাই। দেশে পরিকল্পিতভাবে কিছু হয়নি, তাই এ দূরাবস্থা হাজির হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যাদের উপদেষ্টা-প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়. তারা লোহা-লক্কর পর্যন্ত চেনে না, উন্নয়ন কিভাবে হবে।
সরকারি কারখানা ও জমি ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবে দেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
এসআই/এসকেডি