বিজিএমইএ নির্বাচন : রুবানা হকের পূর্ণ প্যানেল জয়ী
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) নির্বাচনে সম্মিলিত-ফোরাম পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করেছে। প্যানেলটির নেতৃত্বে রয়েছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। তিনি প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বিজিএমইএর ভবনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করে বিজিএমইএর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১৪৯২ জন, এর মধ্যে ৯৯ ভোট বাতিল হয়েছে। ভোটের হার ৭৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
নির্বাচনে জয়ী পরিচালকরা হলেন- রুবানা হক, এস এম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এম এ রহিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, এ কে এম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন,অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।
চূড়ান্ত ফলে দেখা গেছে, রুবানা হক ১২৮০ ভোট, আব্দুর রহিম ১২৯৫ ভোট, মো. নাছির উদ্দিন ১২২৮ ভোট, আসিফ ইব্রাহিম ১১২৭ ভোট, আরশাদ জামাল দিপু ১২৬৮ ভোট, কে এম রফিকুল ইসলাম ১২৬৭ ভোট, মশিউল আজম ১২৫৬ ভোট, ইনামুল হক খান ১২৬৩ ভোট, রেদওয়ান সেলিম ১২২৭ ভোট, কামাল উদ্দিন ১২২৪ ভোট, মোহাম্মদ নাছির ১২২৩ ভোট, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা ১২২১ ভোট, শহীদুল হক মুকুল ১২০৭ ভোট, মাসুদ কাদের মনা ১১৮৭ ভোট, ইকবাল হামিদ কোরাইশী ১২০১ ভোট, ফয়সাল সামাদ ১১২৪ ভোট, মুনির হোসাইন ১২১৮ ভোট, এ কে এম বদিউল আলম ১২১৬ ভোট, মিরান আলী ১২৫৭ ভোট, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ১২০৮ ভোট, মোশাররফ হোসেন ঢালী ১১৭৪ ভোট, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী ১১৯৬ ভোট, মহিউদ্দিন রুবেল ১২৩৭ ভোট, এসএম মান্নান কচি ১১৭৩ ভোট, শরীফ জহির ১১৭৩ ভোট এবং নজরুল ইসলাম ১১৪৯ ভোট পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।
তবে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা পরিষদের কেউ জয়ী হয়নি। এই প্যানেলের জাহাঙ্গীর আলম ৪২২ ভোট, সাইফুল ইসলাম ৩০৭ ভোট, দেলোয়ার হোসেন ২৭৫ ভোট, খন্দকার ফরিদুল আকবর ২৬৩ ভোট, হুমায়ুন রশিদ ২৫০ ভোট, কাজী আব্দুস সোবহান ২৪৭ ভোট, শওকত হোসেন ২৪৩ ভোট, শরীফুল আলম ২৩৭ ভোট, মেহয্যাবীন মমতাজ ২৩৩ ভোট, হোসেন সাব্বির মাহমুদ ২২৭ ভোট, আয়েশা আক্তার ২২০ ভোট, মাহমুদ হোসেন ২১৩ ভোট, ওমার নাজিম হেকমত ২১২ ভোট, জাহাঙ্গীর কবির ২১০ ভোট, জাহিদ হাসান ২০৮ ভোট, ওয়ালীউল্যাহ ১৯৯ ভেঅট, জহিরুল ইসলাম ১৯৭ ভোট পেয়েছন।
দুই বছর মেয়াদি (২০১৯-২১) এই নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদে ৫৩ প্রার্থী অংশ নেন। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ২৬ পদে ভোটগ্রহণ হয়। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৪ প্রার্থী। এর মধ্যে সম্মিলিত পরিষদ-ফোরামের ২৬, স্বাধীনতা পরিষদের ১৭ এবং একজন স্বতন্ত্র।
বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড জানায়, জয়ী পরিচালকরা ১৮ এপ্রিল ভোটের মাধ্যমে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করবেন। এরপর ২১ এপ্রিল বিজিএমইএর নির্বাচিত নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে বর্তমান কমিটি।
নির্বাচনে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল। যার লিডার ছিলেন ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
এসআই/জেএইচ/এমকেএইচ