৫ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার কৃষিপণ্য রফতানি সম্ভব, যদি...
প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে আগামী পাঁচ বছরে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রফতানি করে দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসর অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।
বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে বাপার সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠকে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনাকালে এমন সম্ভাবনার কথা জানায় বাপা।
এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পখাত থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। এ শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা বিশ্বের ১৪৪টি দেশে বাংলাদেশি কৃষিজাত পণ্য রফতানি করছে। প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ শিল্পখাতে ১০ হাজার কোটি টাকা রফতানি সম্ভব হবে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই ল্যাবরেটরির সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ করে বাপা।
জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের প্রসারে সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তিনি এ শিল্পখাতে রফতানি বাড়াতে উদ্যোক্তাদের নগদ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে বলে জানান। এ ছাড়া তিনি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই গবেষণাগারের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশকে স্বাগত জানান এবং এ খাতের উদ্যোক্তাদের চাহিদামাফিক বিএসটিআইয়ের গবেষণাগারে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে বলে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকে বাপার সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, অর্থ সম্পাদক গোলাম শরীফ চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য এম এ ছাত্তারসহ সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এসআর/পিআর