‘পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৯

পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক হয়নি। তাই এটি নিয়ে বাজারে প্যানিক (উদ্বেগ) সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমিতে চতুর্থ পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাকিল রিজভী ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী।

ড. খায়রুল বলেন, পুঁজিবাজারে ব্রোকার-ডিলার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের সবারই টিআইএন নম্বর রয়েছে। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক এ রকম কোনো নিয়ম করা হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নিলে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, এমন কথা বলে বাজারে কেউ কেউ প্যানিক সৃষ্টি করছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়। তাই এ নিয়ে বাজারে প্যানিক সৃষ্টি না করতে নিষেধ করেন তিনি।

খায়রুল হোসেন বলেন, গত আট বছরে পুঁজিবাজার কখনো অস্থিতিশীল হয়নি। বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এখন বাজার আগের চেয়ে বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক। আগের চেয়ে বেশি স্থিতিশীল।

BSEC

তিনি বলেন, বাজার এসে বিনিয়োগকারীরা যাতে প্রতারিত না হয়, সেজন্য কারসাজি চক্রকে চিহ্নিত করছি। বেশকিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নিয়েছি। আশা করছি আগামী ৩ বছরের মধ্যে আরও উন্নত ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার হবে।

ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকিল রিজভী বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেয়ার কেনার বিষয়ে ডিএসসি বা বিএসইসির দোষ দিলে চলবে না। শেয়ার কেনা-বেচার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদেরই সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি বলেন, যেসব কোম্পানির বাৎসরিক বিক্রয় বেশি, সেসব কোম্পানির শেয়ার কিনুন। পেইড আপ ক্যাপিটাল যত বড়ই হোক না কেন বিক্রয় না বাড়লে কোনো ভাবে লাভবান হওয়া যাবে না। তার ভালো হওয়ার অপেক্ষা করেও লাভ নেই।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজারের কাজ হলো অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করা। এ উদ্দেশ্য সফলের জন্য এবং ছোট পুঁজির কোম্পানিগুলোর জন্যও সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। এখন পুঁজিবাজারে উত্তেজনা প্রয়োজন কারণ, বেশ কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজার ঝিমিয়ে পড়েছে। তাই বিনিয়োগে কিছুটা পিছিয়ে পড়া পুঁজিবাজার এই এক্সপোর মাধ্যমে সচেতন বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাজারের ব্র্যান্ডিং এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০১৯ চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। বিনা টিকেটে যে ককেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবে।

এবারের মেলায় বিনিয়োগের কলাকৌশল, পুঁজিবাজারে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা, বিদ্যুৎ খাতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল ও পুঁজিবাজার, শিল্পায়নে পুঁজিবাজারের অবদান ইত্যাদি বিষয়ে কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এসআই/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।