চলতি বছর প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৯
প্রতীকী ছবি

>> চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হবে ৮.২৫ শতাংশ : অর্থমন্ত্রী
>> মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা নেই, বলছে প্রতিবেদন
>> ১৯৭৪ সালের পর বিগত দুই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধিতে বড় অর্জন

২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যদিও এর আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছিলেন, চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ।

আজ বুধবার এডিবির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুধবার এডিবি ঢাকার কার্যালয়ে ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।

প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে মনমোহন প্রকাশ জানান, এশিয়ার দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশটিতে ব্যক্তি চাহিদা বেড়ে যাওয়া, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানি আয় ও রেমিট্যান্সপ্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অবকাঠামো খাত বেড়ে যাওয়ায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

adb

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। দেশে কৃষি ফলন বৃদ্ধি পাওয়া এবং দুনিয়াজুড়ে খাদ্য ও তেলের দাম কম হওয়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হলে দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নত, রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা কার্যালয়ের এডিবির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সন চ্যাং হং।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ছিল দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৪ সালের পর এটা বড় অর্জন। রফতানি, পণ্য সরবরাহ ও শিল্পের বিকাশের কারণে এটা সম্ভব হয়েছিল। এটা বজায় রাখতে হলে উপরের বিষয়গুলো (দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নত, রফতানি পণ্যে বৈচিত্র আনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি) প্রতিপালন জরুরি বলেও মনে করেন সন চ্যাং হং।

পিডি/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।