৬৩০ কোটি টাকায় হবে ১১ মডার্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন

মেসবাহুল হক
মেসবাহুল হক মেসবাহুল হক , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৯

দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে আরও আধুনিক করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের পাশাপাশি ১১টি আধুনিক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এসব স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রকল্পে প্রশাসনিক আদেশে সম্মতি প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকল্পটির অনুমোদিত অঙ্গভিত্তিক ব্যয় বিভাজনও দেয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে ১১টি মডার্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ ও পূর্ত কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৮ কোটি ৭৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ বা ক্রয়ের জন্য ৫৮ কোটি ৫৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা; ১০টি কেন্দ্রের জন্য আসবাবপত্র বাবদ এক কোটি তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা, রূপপুর-পাবনা কেন্দ্রের জন্য আসবাবপত্র বাবদ ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা; প্রকল্প পরিচালকের অফিসের জন্য আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ পাঁচ লাখ টাকা এবং তৈজসপত্র ও অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

এছাড়া সরঞ্জামাদিসহ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনায় দুই লাখ টাকা; ফটোকপি মেশিনের জন্য আড়াই লাখ টাকা; ফ্যাক্স বাবদ ৫০ হাজার টাকা; একটি ইন্সপেকশন জিপ ক্রয়ে ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা; ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট কেনার জন্য ২৬৫ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ফায়ার ফাইটিং এক্সেসরিজ কেনা বাবদ ১৯ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

বেতার সরঞ্জাম ও টাওয়ার স্থাপন বাবদ ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা; রিপিটারের জন্য ৩৫ লাখ টাকা; ৪৪টি ওয়াকিটকি সেট কেনার জন্য ৩৩ লাখ টাকা এবং আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ১৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা।

এছাড়া ফিজিক্যাল কন্টিনজেন্সি বাবদ ১১ কোটি ৭৭ লাখ এবং প্রাইস কন্টিনজেন্সি বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

বেতন খাতে কর্মকর্তাদের জন্য ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা; কর্মচারীদের জন্য ১৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা বাবদ ৬০ লাখ ৭১ হাজার টাকা; টিএ/ডিএ ও ওভারটাইম বাবদ পাঁচ লাখ টাকা এবং শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

টেলিফোন ও মোবাইল বিল বাবদ ২০ লাখ টাকা; যানবাহন রেজিস্ট্রেশন বিল পাঁচ লাখ টাকা; ফুয়েল, লুব্রিকেন্ট ইত্যাদি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা; খেলার সামগ্রী বাবদ দুই লাখ ৬৪ হাজার টাকা; ১১টি স্থাপত্য নকশা বাবদ ১১ লাখ টাকা এবং ১১টি কাঠামো নকশা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ লাখ টাকা।

প্রাক্কলন, দরপত্র, ডিপিপি ছাপানো, বাঁধানো বাবদ ৬৯ লাখ টাকা; স্টেশনারি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা; পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি বাবদ ৪৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা; বিভিন্ন খাতে সম্মানী বাবদ ১০ লাখ টাকা এবং ম্যাটেরিয়াল পরীক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ লাখ টাকা।

১১ দফা ডিজিটাল সার্ভের জন্য ১২ লাখ ১০ হাজার টাকা; ১১ দফা মাটি পরীক্ষার জন্য ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা; বিদেশে প্রশিক্ষণ বাবদ এক কোটি টাকা এবং মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নতুন ঘরবাড়ি ও কল-কারখানা হচ্ছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে সব উপজেলায় ৫৬৫টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের সব উপজেলায় ৫৬৫টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৪০৬ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৫৯টি স্টেশন নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এসব স্টেশন তৈরির কাজ শেষ হলে মানুষের জানমাল সুরক্ষায় ফায়ার সার্ভিসের সামর্থ্য বৃদ্ধি পাবে।

এমইউএইচ/এমএমজেড/এমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।