তামাকের কর বাড়ালে কমবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৯

সিগারেট ও তামাক পণ্যের উপর কর বাড়লে একদিকে রাজস্ব বাড়বে অন্যদিকে কমবে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমবে। তাই আগামী বাজেটে এ খাতের বিদ্যমান করহার বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বিশিষ্টজনরা।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘কেমন তামাক কর চাই’ শীর্ষক প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এবং এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে তিন কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার কারীর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ এবং ধূমপায়ীর সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ। আবার পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া অনুপাত হারে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমলেও সংখ্যার ভিত্তিতে বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা।

এ অবস্থার উত্তরণে সব ধরনের তামাক পণ্যে খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করহার বাড়ানো গেলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমানো সম্ভব। এছাড়া সামাজিকভাবে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তকে ধূপপান বিরোধী অধ্যায় রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, অনুপাতহারে ধূমপায়ী কমলেও সংখ্যার হারে কমছে না। আমাদের এখন তামাকের বিরুদ্ধে জোর প্রচারণার পাশাপাশি দরকার তামাকের বিকল্প চাষ। যার মাধ্যমে কৃষক আরও লাভবান হতে পারে। এজন্য কৃষকদের আরও সচেতন করতে হবে এবং তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে হবে।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, তামাকের উপর সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া ব্যবহার কমানো সম্ভব নয়। এজন্য পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিশুরা ছোট থেকেই যেন তামাকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এর আগে দেখেছি ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি বড় অর্থের চেকের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতো। আবার তামাকের প্রভাবে সরকারে স্বাস্থ্যখাতে যে খরচ হয় সেটাও দেখতে হবে। সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জনস্বার্থের দিকেই বেশি নজর দিতে হবে। পাশাপাশি সব ধরনের তামাক পণ্যে ২৫ শতাংশ ভ্যাট রাখতে হবে। একইসঙ্গে কর্পোরেট করহার কমানো যাবে না।

বিআইডিএসর পরিচালক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, যারা ধূমপায়ী তারা হয়তো সহজে ছাড়তে পারবে না কিন্তু যারা এখনও ধূমপান করেন না তাদের তো এ থেকে বাঁচাতে পারি। এজন্য সিগারেটে উচ্চ করহার রাখতে হবে।

বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক ও এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মার কো-কনভেনর নাদিয়া কিরণের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রস্তাব দেন বিআইডিএস-এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর।

এসআই/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।