স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পেতে যা লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯

স্বর্ণ আমদানির জন্য আগ্রহীদের লাইসেন্স দিতে আবেদনপত্র নেয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য বেশ কিছু শর্ত দেয়া হযেছে।

আবেদনকারী নিবন্ধিত লিমিটেড কোম্পানি হলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম এক কোটি টাকা থাকতে হবে। আমদানিকৃত স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালঙ্কার নিরাপদে রাখতে সাড়ে ৭০০ বর্গফুটের কার্যালয় থাকতে হবে। লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীদের অফেরতযোগ্য পাঁচ লাখ টাকার পে অর্ডার দিতে হবে।

গত বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিপত্র অনুযায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্বর্ণ আমদানির অনুমোদন দেয়ায় দেশে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি হবে। ফলে অর্থ পাচার কমে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

জানা গেছে, এতদিন বৈধভাবে কেউ স্বর্ণ আমদানি করত না। চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে স্বর্ণ আসত। স্বর্ণের চোরাচালান ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও তা থেমে ছিল না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈধ পথে দেশে স্বর্ণ না আসায় একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারায়, অপরদিকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার স্বর্ণ আমদানি উন্মুক্ত করার জন্য স্বর্ণ নীতিমালার ওপর একটি গেজেট প্রকাশ করে। গত ২৯ অক্টোবর এ নীতিমালা জারির পর কীভাবে স্বর্ণ আমদানি করতে পারবে, কারা আমদানি করবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয়া হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, স্বর্ণ আমদানি করতে দুই বছরের জন্য লাইসেন্স দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুই বছর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। অনুমোদন দেয়া লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নবায়ন করতে হবে। নবায়নের ফি ধার্য করা হয়েছে দুই লাখ টাকা।

স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পেতে কমপক্ষে এক কোটি টাকার বৈধ অর্থ দেখাতে হবে, যা পরিশোধিত মূলধন আকারে থাকবে। স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী কোনোভাবেই ব্যাংক ঋণ বা কর খেলাপি হতে পারবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স দেয়া হলে বৈধ পথে আমদানি বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।

এমইউএইচ/এএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।