শক্তিশালী তামাক শুল্ক নীতি প্রণয়ন জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৯

তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে প্রচুর রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। কারণ তামাকের ওপর বর্তমান শুল্ক কাঠামো জটিল ও স্তরভিত্তিক। এই কাঠামো সহজ করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক নীতি প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়েছেন আলোচকরা।

তারা বলেন, আমরা জানি কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তার চাহিদা কমে। তামাকের প্রকৃত মূল্য, কর বৃদ্ধি এবং জোগান কমানোর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

সোমবার (১১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতি রোধে তামাক করনীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’ নামক একটি সংগঠন।

বক্তারা বলেন, তামাক ব্যবহারকারী ৫০ ভাগ মানুষ তামাকজনিত রোগে ভুগে অকালে মৃত্যুবরণ করে। পাশাপাশি তামাকজনিত রোগের চিকিৎসার ব্যয় অনেক। এ ব্যয় মেটাতে অনেক পরিবারকে সর্বস্বান্ত হতে হয়। তাছাড়া তামাকের সামাজিক প্রভাবও অনেক। তাই যেভাবেই হোক তামাককে রুখতে হবে।

তারা আরও বলেন, তামাকের যে দৃশ্যমান কর অনেক কম। অনেক ক্ষেত্রেই তা সহজে বোঝা যাবে না। কারণ তামাকের শুল্ক কাঠামো অত্যন্ত জটিল। বিদ্যমান তামাকের কর ব্যবস্থাকে জনস্বাস্থ্য ও তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোর সুপারিশের আলোকে সংশোধন করা হলে, ২০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি সরকার বছরে অনেক টাকা কর পাবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ফোকাল পার্সন রুমানা হক, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট পরিচালক গাউস পিয়ারী, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট তৌফিক মারুফ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন মারুফ, দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কান্ট্রি অ্যাডভাইজর শফিকুল ইসলাম, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক প্রমুখ।

এএস/এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।