রাইটের অর্থ ব্যবহারে আরও সময় পেল বিডি থাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৯

এক দফা সময় বাড়ানোর পরও শেয়ারবাজার থেকে রাইট শেয়ারের মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবহারে ব্যর্থ হয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। এ পরিস্থিতিতে রাইট শেয়ারের অর্থ নির্ধারিত খাতে ব্যবহারের জন্য কোম্পানিটিকে আরও ছয় মাস সময় দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এর মাধ্যমে রাইট শেয়ার দিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ ব্যবহারের জন্য দুই দফায় অতিরিক্ত দেড় বছর সময় পেল কোম্পানিটি। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জমি উন্নয়ন, ভবনের কাজ, মেশিনারীজ আমদানি ও দেশে ক্রয়, পণ্যে বৈচিত্রতা আনার জন্য বিনিয়োগ, চলতি মূলধন, ঋণ পরিশোধ, সিকিউরিটি অর্থ হিসেবে ডিপোজিটের জন্য বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামকে রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২০১৬ সালে শেয়ারবাজার থেকে ৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। যা ব্যবহারের জন্য ১৫ মাস বা ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক সময়সীমা ছিল।

কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই সময়ের মধ্যে অর্থ ব্যবহারে ব্যর্থ হয়। এতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিয়ে রাইটের অর্থ ব্যবহারে ১ বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেয় কোম্পানিটি।

তবে এক বছর সময় বাড়িয়েও লাভ হয়নি। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও রাইটের সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবহার করতে পারেনি বিডি থাই। এতে বিএসইসিতে আবেদন করে আবারও ৬ মাসের সময় বাড়িয়েছে কোম্পানিটি। নতুন সময় বাড়ানোর ফলে কোম্পানিটিকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রাইটের অর্থ ব্যবহার করতে হবে।

বিডি থাইকে অভিহিত মূল্যে বা ১০ টাকা করে একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেয়া হয়। রাইট শেয়ার পেতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টাকা জমা দেন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এমএএস/এমএসএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।