এডিআর সমন্বয়ের সময় বৃদ্ধিতে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৯

চতুর্থ দফায় ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) সমন্বয়ের সময় ছয় মাস বাড়ানোর সংবাদে শেয়ারবাজারে দেখা দিয়েছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। রোববার (১০ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে।

মূল্য সূচকের পাশাপাশি দুই বাজারেই ব্যাংক, বীমা, আর্থিক খাতসহ সবকটি খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনেটের দাম বেড়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দাম।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক নির্দেশনা জরি করে এডিআর সমন্বয়ের সময়সীমা ছয় মাস বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। যা এর আগে ছিল চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

আগ্রাসী ও মানহীন ঋণ বিতরণ ঠেকাতে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথম দফায় এডিআর কমানোর নির্দেশ দেয়। সে সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, জুনের মধ্যে বাংকগুলোকে বাড়তি ঋণ সমন্বয় করে নির্ধারিত সীমায় আনতে হবে। পরে ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি নির্দেশনা দিয়ে সমন্বয়ের সময় বাড়িয়ে ডিসেম্বর করা হয়। এরপর তৃতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সমন্বয়ের সময় বেঁধে দেয়া হয়।

এডিআর সমন্বয়ের সময় ঘনিয়ে আসায় ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দরপতন দেখা দেয় শেয়ারবাজারে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে বৃহস্পতিবার এডিআর সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর নির্দেশনা আসার পরের কার্যদিবসেই শেয়ারবাজার বড় উত্থানের দেখা পেয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৭১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় আট পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার এক পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের ২৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশ।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল পলিমার, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, বিডিকম, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইং।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৫৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৬৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দাম।

এমএএস/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।