বৈদেশিক প্রশিক্ষণে ভাতার ব্যাখ্যা দিল অর্থ মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ০৩ মার্চ ২০১৯

সরকারি চকরিজীবীদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপে প্রাপ্ত ভাতার ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ মোমেনা মনি স্বাক্ষরিত ব্যাখ্যা প্রদান পত্রটি আজ রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) পুনরায় প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। এ অনুযায়ী সর্বসাকুল্য ভাতার শতকরা ৩০ শতাংশ পকেট ভাতা পাবেন সরকারি চকরিজীবীরা।

এতে বলা হয়, সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণকালে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত ভ্রমণ ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত অর্থ বিভাগ গত ২০১২ ও ২০১৩ সালে দুটি অফিস আদেশ দেয়া হয়। আদেশ অনুযায়ী বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের নিমিত্ত সাধারণ পর্যায়ভুক্ত কোন ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রীয় অতিথি বিবেচিত হন। অর্থাৎ যদি তাঁর আহার, বাস্থান বাবদ খরচ কোন বিদেশী সরকার কিংবা সংস্থা বহন করে, তাহলে তিনি সে দেশের জন্য নির্ধারিত সর্বসাকুল্য ভাতার শতকরা ৩০ শতাংশ পকেট ভাতা প্রাপ্য হবেন।

তবে তাকে আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ নগদ কোনো অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকলে তিনি এ ভাতা পাবেন না। আহার ও বাসস্থান বাবদ খরচের জন্য ওই দেশ বা সংস্থা যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নগদ অর্থ প্রদান করে তা হলে সে ক্ষেত্রেও তিনি এ ভাতা প্রাপ্য হবে না।

এতে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে জটিলতা এড়ানোর স্বার্থে বিদেশে প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক জারীকৃত জিওতে সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণকালে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্য ভ্রমণ ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত অর্থ বিভাগের ২০১২ সালের ৯ অক্টোবার এবং ২০১৩ সালের ১০ মার্চ অফিস স্মরক অনুযায়ী ৩০ শতাংশ পকেট ভাতা প্রাপ্যতার বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।

এমইউএইচ/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।