বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশকে একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর ওয়াশিংটন থেকে ৩ মার্চ পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে জানানো হয়।
বাংলাদেশকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরে। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ বছর সুদ দেয়া লাগবে না। পরবর্তীতে ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণ সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা (পিএফএ) অ্যাকশন প্ল্যান ২০১৬-২০২১ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতেও সাহায্য করবে ঋণ। আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতাও বয়ে আনবে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন বলেন, ‘সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে বাংলাদেশ গত দুই দশকে ভালো করেছে। এই অর্থ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। সেই সঙ্গে জনগণকে জরুরি সেবাদানে সক্ষমতা বাড়াবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহজে ও কার্যকর সেবা প্রদানে সবচেয়ে বড় বাধা দেরিতে বাজেট পাশ হওয়া। এ ছাড়াও প্রয়োজনী পণ্য ও সেবাও দ্রুত পৌঁছানোও যথা সময়ে সম্ভব হয় না। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ পৌঁছাতেও গড়ে ১৫ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। সেই সঙ্গে এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত তদারকিরও অভাব রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের স্ট্রেন্থেনিং পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম টু এনেবল সার্ভিস ডেলিভারি প্রোগ্রামের প্রধান ফারকান আহমেদ সেলিম বলেন, ‘এ রকম বাস্তবতায় বাংলাদেশের সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতিগুলো আরও শক্তিশালী করার সুযোগ এসেছে। আর এটাই উপযুক্ত সময়। এগুলোকে শক্তিশালী করতে পারলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এসডিজি অর্জন এবং উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানো সম্ভব।’
পিডি/এমআরএম/পিআর