শিক্ষিত কিছু লোক বেকার স্বেচ্ছায় : পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটা অংশ স্বেচ্ছায় বেকার থাকছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘২০১৯ ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুসিভ সামিটে’ এ মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, ‘অধিক উৎপাদনে কৃষি থেকে শিল্পে ঢুকছি। শিক্ষা ঢুকে গেছে আমাদের গ্রামে। যেটা শ্রমের প্রধান উৎস। প্রযুক্তিও সমান তালে ঢুকে যাচ্ছে। বেশি সচেতন হওয়ায় তারা (গ্রামের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী) কৃষিতে থাকছে না। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী শহরমুখী হচ্ছে। শহুরে যেসব কাজ, এসব কাজের চাহিদা বেড়ে গেছে। সবার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না। এই যে পাওয়া যাচ্ছে না, তারা বেকার।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি গ্যাপ আছে। কিছু লোক আছে, তারা বেকার বাই চয়েজ (স্বচ্ছায়)। তারা গ্রামে যাবে না। যে চাকরিটা তাকে দেয়া হচ্ছে বাজারের প্রয়োজনে, এটা সে করবে না। সে চায়, চেয়ার দুলিয়ে কাজ-করা না-করার একটা আধা-কাজের মানসিকতা। এটা এখন সম্ভব নয়। এখন আমাদের কাজ করতে হবে হাতেকলমে। বাজারে যেটার চাহিদা আছে। এ জন্য কিছু লোক বেকার।’

দেশের শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বিদেশে পাড়ি জমানোর মানসিকতাও রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আর কিছু আছে তরুণ বয়সী, তারা অন্য কোথাও, অন্য কোনোখানে পশ্চিমে-উত্তরে যেতে চায়। সেটারও ব্যাখ্যা আছে। আমাদের দেশের বাজারে তারা যথেষ্ট জায়গা পাচ্ছে না। বিদেশে গেলে তারা এমন কিছু বাড়তি সুবিধা ভোগ করবে যেটা আমাদের সমাজে নানা সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত কারণে দিচ্ছে না। সুতরাং এসব হাজার হাজার তরুণ-যুবক ওই জীবনের খোঁজে যেতে চায়।’

ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুসিভ সামিট
শহরে, গ্রামে-গঞ্জে বিকাশ, ডাচ-বাংলার মতো ব্যাংকিং খাত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই খাতে গ্রামীণসহ সবধরনের মানুষের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে প্রথমবারের মতো ‘২০১৯ ফাইনানশ্যাল ইনক্লুসিভ সামিট।’

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির বড় অংশ কিছুদিন আগেও ছিল আর্থিক খাতের বাইরে। সরাসরি বিনিময় হতো মানুষের হাতে। নিখুঁত টাকা ঢুকবে, ঘুরবে বেশি, সেদিকে আমরা যাচ্ছি না। এটাকে ত্বরান্বিত করলে আমাদের লাভ হবে বেশি। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে আমরা আইন করে বলছি, গ্রামে শাখা খুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পাওনা, বেতন-ভাতা ইত্যাদি বিকাশ, ডাচ-বাংলাসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা গ্রামে পাঠাই। এ ছাড়া আমরা যে সহায়তাগুলো দিই, গ্রামীণ কৃষক, মৎস্যজীবী বা অন্যদেরকে- সেগুলো কিন্তু আমরা ক্যাশের মাধ্যমে দিই। এই যে আমাদের ইনক্লুশন বা অন্তর্ভুক্তিকরণ করা; আমি মনে করি, এই সম্মেলন এই অন্তর্ভুক্তিকরণে সহায়তা করবে।’

‘আরও অনেক উপায় আছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এ রকম আইডিয়া আসতে থাকবে’ বলেও মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করি, সেটা তারাও সেটাই করে। তবে আমরা দেশের বাইরে থেকে প্রযুক্তি এনে আমরা সেটা মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি। তবে এটা মোকাবেলা করার জন্য সার্বিকভাবে আপনাদের কান খাড়া রাখতে হবে। সরকারের কান খাড়া আছে।’

পিডি/বিএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।