‘বিনিয়োগ বাড়াতে বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিমানবন্দরে হয়রানিসহ আনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি বন্ধ করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।

মঙ্গলবার বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীর নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, দেশে আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা বিশেষ করে আমাদের বিমানবন্দরে অন- অ্যারাইভাল ভিসা, পণ্য খালাস এবং লাগেজ হ্যান্ডিলিংসহ অন্যান্য সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, যা বহির্বিশ্বে আমাদের নেতিবাচক ইমেজ তুলে ধরে। এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের বিনিয়োগ আরও স্থবির হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়নে বিমান, স্থল ও নদীবন্দরগুলো, ব্যাংক-বীমাসহ বিনিয়োগ সহায়ক অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবেন বলে প্রত্যাশা করি। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রতি সাধারণ যে দৃষ্টিভঙ্গী তা পরিবর্তনের পাশাপশি অবিশ্বাসের যে মনোভাব তা দূর করতে হবে।

কাজী আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী বিমানবন্দরে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে তাকে সবরকম সহযোগিতা ও সুবিধা দিতে তৎপর থাকতে হবে। বিমানবন্দরে এ সেবা প্রদানে বিডা কাজ করে যাচ্ছে।

বিডার চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগবিষয়ক সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিডা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং শিগগিরই তা বস্তবায়ন করা হবে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রগতির ধারাকে বজায়ে রাখা এবং বিশেষ করে তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে সরকার ও বেসরকারি খাতকে একযোগ কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত ‘ডুইং বিজনেস ২০১৯’ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৭৬তম স্থানে রয়েছে, যা মোটেই কাম্য নয়। তিনি ডুইং বিজনেস ইনডেক্স-এ বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়ন এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক বলে মন্তব্য করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমদানি-রফতানি নীতি, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতি এবং কর নীতিসহ সরকারের অন্যান্য নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে কার্যকর কৌশলপত্র প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

সাক্ষাতকালে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আশরাফ আহমেদ, দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, এস এম জিল্লুর রহমানসহ বিডা’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।