শেষ হলো এক মাসের বিকিকিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের রাস্তা। সকাল ১০টা বাজতে না বাজতেই ওই রাস্তায় দেখা মিলত মানুষের লম্বা সারি। মানুষ ধেয়ে চলত সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের মাঠের দিকে। উদ্দেশ্য, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ঘুরে দেখা ও প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করা। ঘোরা, কেনাকাটা শেষে আবার ফেরা।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই দৃশ্যের দেখা মিলেছে, ৯ জানুয়ারি থেকে। তবে তা আর দেখা যাবে না। আজ শনিবার রাত ৮টা থেকে সবধরনের বেচাকেনা শেষ হয়েছে। বিদায় নিচ্ছে সবাই বাণিজ্য মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে।

trade-fair

এর আগে আজ দুপুরে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপন ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শেষ হলেও পণ্য বেচাকেনা চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। এ দিন রাত পর্যন্ত মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

দোকানিরাও মালামাল শেষ করার জন্য তুলনামূলক কমদামে বিক্রি করেছেন। অন্যদিকে ক্রেতারাও স্বল্পদামে কিনেছেন তাদের পছন্দের পণ্য। এখন থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের এই উপস্থিতি না থাকলেও এর মায়া যেন ঠিকই থেকে যাবে কিছু মানুষের মাঝে।

trade-fair2

এমনই একজন মো. নূর আহাম্মদ। বাণিজ্য মেলার ডেল্টা প্যাভিলিয়নে তিনি এক মাস ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্যাভিলিয়নের সামনের অংশটুকু গাছ দিয়ে সীমানা দেয়া। তাদের তৈরি করা রাস্তা ছেড়ে কেউ যাতে গাছ ডিঙিয়ে প্যাভিলিয়নে না প্রবেশ করেন, সেটা দেখভাল করতেন নূর আহাম্মদ। আর এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক দর্শনার্থীর সঙ্গে অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও রূঢ় আচরণ করতে হয়েছে তাকে। তবে আজ রাত থেকে তাকে তা আর করতে হবে না।

নূর আহাম্মদ বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল হলেই মানুষ ভিড় করত, কিন্তু এখন আর করবে না। আমি হয়তো প্যাভিলিয়ন না সরানো পর্যন্ত এখানে থেকে যাব। একাই একাই থাকতে হবে।’

trade-fair4

স্পিডের প্যাভিলিয়নে কর্মরত মো. হামিম বলেন, ‘কাল থেকে এখানে আসব না। কয়েকদিন তো একটু সমস্যা হবেই। তারপর ঠিক হয়ে যাবে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ৯ জানুয়ারি শুরু হয় মাসব্যাপী এই আসর। তা শেষ হলো আজ।

পিডি/বিএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।